কলড্রপে ক্ষতিপূরণ: কঠোর হতে নির্দেশনা বিটিআরসিকে

কলড্রপে ক্ষতিপূরণ না দিলে আগামী জানুয়ারি থেকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতি কঠোর হতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2016, 10:40 AM
Updated : 6 Dec 2016, 10:40 AM

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার হালনাগাদ তথ্যে একটি অপারেটর ছাড়া কোনো অপারেটরই কলড্রপে ক্ষতিপূরণ দেয়নি বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তাইবের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কলড্রপের ক্ষেত্রে আইটিইউ’র (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা) একটি নির্ধারিত মান আছে। শতকরা তিনটি পর্যন্ত কলড্রপ হলে সেটাকে মানসম্মতই ধরে নেওয়া হয়।

“আমরা বিটিআরসিকে বলেছিলাম এর বাইরে কতটুকু কল ড্রপ হল এটা মেজার (পরিমাপ) করার একটা টুল (ব্যবস্থা) আমাদের কাছে থাকা প্রয়োজন। কারণ আমরা ইনফরমেশনটা চাচ্ছি অপারেটরদের কাছ থেকে। যেহেতু আমরা অপারেটরদের কাছে ইনফরমেশনটা চাচ্ছি এটা শতভাগ তাদের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা অপারেটরদের বলেছিলাম ডিসেম্বর পর্যন্ত ঐচ্ছিকভাবে তাদেরকে কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা যে হালনাগাদ তথ্য বিটিআরসির কাছ থেকে পেয়েছি। একটি অপারেটর বাদে কোনো অপারেটর কল ফেরত দেয়নি।”

প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম (ফাইল ছবি)

কলড্রপের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে তিন দিন আগে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তারানা বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আইটিইউ’র নীতিমালার বাইরে যে কল ড্রপ হয় তার ক্ষতিপূণ দেওয়ার কথা।

“যদি না দিয়ে (কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ) থাকে, তবে জানুয়ারি থেকে বিটিআরসি যেন এটি কঠোরভাবে কার্যকর করে সেই নির্দেশনা আমরা ইতোমধ্যে দিয়ে ফেলেছি।”

“কল ফেরত প্রদান না করলে তাহলে বিটিআরসি নিজ থেকে কিভাবে এটা কার্যকর করতে পারে, বিষয়ে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি,” বলেন তিনি।

কলড্রপসহ মোবাইল ফোন গ্রাহকদের নানা ভোগান্তির প্রেক্ষাপটে গতবছর অগাস্টে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

গত জানুয়ারি মাসে মোবাইল ফোনে প্রতি কলড্রপে এক মিনিট করে ক্ষতিপূরণ দিতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

তবে এই ক্ষতিপূরণ কোন প্রক্রিয়ায় দেওয়া হবে বা কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অপারেটরদের মধ্যে বারবার বৈঠক হলেও তা কার্যকর হয়নি।