ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যোগসাজশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত মে মাসে আসলামের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়।
তখন থেকে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার ওই রুল জারি করে। দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আসলামের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশিরউল্লাহ।
পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতের রুল জারির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
এর আগে ১৮ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।
গত ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরদিন ৫৪ ধারায় (মোসাদ কানেকশনে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ) গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের দু’জনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে আনার আবেদন জানানো হয়। আদালত সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা।
মামলায় বলা হয়, আসলাম চৌধুরী গত ৫ মার্চ থেকে ৯ মার্চ ভারতে অবস্থানকালে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যার কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
“এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আসামিরা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য দেশে সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।”