নারায়ণগঞ্জে ভোট: আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে থাকছে সশস্ত্র বাহিনীও

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিও ডাকা হয়েছে।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2016, 04:48 PM
Updated : 4 Dec 2016, 04:51 PM

বিএনপি এ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানানোর পর পরিস্থিতি পর্যালোচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিও যুক্ত করা হল।

আগামী ১০ ডিসেম্বর শেরেবাংলানগরে এনইসি মিলনায়তনে এই সভা হবে। এ উপলক্ষে গত ২৭ নভেম্বর জারি করা নোটিশে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি রাখা হয়নি।

ওই নোটিশ সংশোধন করে অন্যদের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে যুক্ত করে রোববার সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান জানিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে অন্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহাপুলিশ পরিদর্শক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআই, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ প্রশাসন ও ইসির কর্মকর্তা এবং নারায়ণগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি ডাকা হলেও নির্বাচন কমিশনের যে প্রস্তুতি তাতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নেই।

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো কমিশনের প্রস্তাবিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ২২ থেকে ২৪ জন করে নিয়োজিত থাকবেন। পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ২৭ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল টিম এবং নয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ২৭টি, বিজিবির ১৪ প্লাটুন ও কোস্টগার্ডের তিন প্লাটুন সদস্য টহলে থাকবে।

২২ ডিসেম্বর ভোটের দুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন হয়ে থাকবে ভোটের পরদিন পর্যন্ত।

‘স্ট্যাটিক’ ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব-পুলিশের টিম এবং বিজিবির আট প্লাটুন রিজার্ভ ফোর্স সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাবও রেখেছে ইসি।

বিএনপির পক্ষ থেকে ভোটের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতায়েনের দাবি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলছে, সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা করা দরকার সে পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন।

সেনা মোতায়েনের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “প্রার্থীদের দাবির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেব। এমনভাবে তাদের আশ্বস্ত করব যাতে করে বিশেষ কোনো বাহিনীকে (সেনাবাহিনী) সেক্ষেত্রে আর হয়ত প্রয়োজন পড়বে না।”

সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে তা তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।