জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব

প্রতিষ্ঠার এক দশক পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত ২০০৫ সালের আইন পরিবর্তনে দ্বিতীয়বারের মতো দাবি উঠেছে।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2016, 03:52 PM
Updated : 4 Dec 2016, 03:52 PM

২০১১ সালে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আংশিক পরিবর্তিত আইনটিতে এবার বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন চাইছেন এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহে তা প্রস্তাব আকারে জমা দেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম আব্দুল্লাহ।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজকে ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ‌্যালয়ে রূপ দেয় সরকার। তখন ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ হয়েছিল।

ওই আইনটির একটি ধারায় বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ব‌্যয় পাঁচ বছর পর নিজস্ব অর্থায়নে সংস্থানের কথা বলা হয়েছিল, যার ফলে একই সময়ে একই ধরনের আইনে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি বিশ্ববিদ‌্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বেতন বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১১ সালে আইনের ২৭/৪ ধারাটি বাতিল করে সরকার।

এখন আবার আইন সংশোদন চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা নেই আমাদের। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আইনে নেই। তাই আইনটিতে পরিবর্তন আনার দাবি করছি আমরা।”

আইনে কী ধরনের পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে- শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকগুলো পরিবর্তনের কথা বলেছি আমরা। আমাদের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদ নেই, সিনেট নেই; কিন্তু আমাদের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও সিনেট দরকার।

“এছাড়া চেয়ারম্যানশিপে বাই রোটেশন করা (অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের মধ্যে চেয়ারম্যানশিপের রদবদল), আরও ভাষাগত কিছু বিষয়সহ আরও কয়েকটি প্রস্তাব রয়েছে। তবে প্রো-ভিসি, সিনেট ও চেয়ারম্যানশিপ রোটেশনের প্রস্তাবটিই মুখ্য।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আইনের ৮ ধারায় চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিধান থাকলেও প্রো-ভিসি পদ নেই।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনায় আসছেন। সিনেটহীন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম হয়ে আছে সিন্ডিকেট।

অন্যদিকে অধ্যাপক ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চেয়ারম্যান হওয়ার বিধান নেই। ফলে অধ্যাপক সঙ্কটের কারণে অনেক বিভাগে একই ব্যক্তির তিন বারও চেয়ারম্যান হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে সহযোগী অধ্যাপকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

প্রস্তাবটি উত্থাপনের বিষয়ে নূরে আলম বলেন, “শিক্ষক সমিতির চতুর্থ সাধারণ সভায় আলোচনার পর গত সপ্তাহে আমরা এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি।”