অমন কথা ‘আর বলবেন না’ এসপি মোজাহিদ

ডাকাত পেলে ‘পিষে মারার’ কথা বলে সংবাদ শিরোনামে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে শাস্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2016, 08:16 AM
Updated : 4 Dec 2016, 08:16 AM

ভবিষ‌্যতে আর এমন বক্তব‌্য না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সতর্ক করে দিয়ে তাকে অব‌্যাহতি দিয়েছে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ২৭ নভেম্বর হাই কোর্টের এই বেঞ্চই এসপি মোজাহিদকে আদালতে তলব করে। ৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে নিজে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে তার ব‌্যাখ‌্যা উপস্থাপন বরতে বলা হয়।

ওই বক্তব্য দেওয়ায় জন‌্য তার বিরুদ্ধে কেন বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করে আদালত।

এসপি মোজাহিদুল ইসলামের উক্তি সম্বলিত সংবাদ প্রতিবেদন

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় পুলিশ মহাপরিদর্শক- রাজশাহী, রাজশাহীর জেলা পুলিশ সুপারকে সাত দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।

সে অনুযায়ী মোজাহিদুল ইসলাম রোববার আদালতে হাজির হন এবং তার পক্ষে তার আইনজীবী সাবেক আইন মন্ত্রী ব‌্যারিস্টার শফিক আহমেদ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

সেখানে এসপি মোজাহিদ নিঃশর্ত ক্ষমতা প্রার্থনা করে ভবিষ‌্যতে আর এমন বক্তব‌্য না দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।  

সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ২৫ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল চত্বরে চক্ষুশিবিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দিতে গিয়ে ওই বক্তব‌্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার।

তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ডাকাত যদি হাতেনাতে পান, তো জলজ্যান্ত ওটাকে পিষে মেরে ফেলুন। একটা মার্ডার কেস নেব, এটা সত্য কথা এবং এক মাসের মধ্যে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে চলে আসব। গ্যারান্টি আমার। আমি যদি গ্যারান্টার হই, তবে আপনাদের কোনো ভয় আছে?”