পর্দা নামল ঢাকা লিট ফেস্টের

বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের সঙ্গে সংযুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে পর্দা নামল ষষ্ঠ ঢাকা লিট ফেস্টের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2016, 05:36 PM
Updated : 19 Nov 2016, 05:36 PM

গত তিন দিন ধরে বাংলা একাডেমি চত্বর মুখরিত ছিল দেশি-বিদেশি সাহিত্যিকদের মিলনমেলায়। ৯০টি অধিবেশনে অংশ নিয়ে তারা কথা বলেছেন সাহিত্য-সমাজ-রাজনীতি-বিজ্ঞানসহ বিবিধ বিষয়ে।

ছিল বই বিকিকিনির আয়োজনও। উৎসবের শেষ দিনে ঘোষণা আসে জেমকন সাহিত্য পুরস্কারের।

সৃজনশীল সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান সাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের। একই আসরে জেমকন তরুণ কথাসাহিত্যিক পুরস্কার পান মোস্তাফিজ কারিগর।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় উৎসবের মূল মঞ্চ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

উৎসবের মূল মঞ্চ একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনেই ছিল লিট ফেস্টের সমাপনী অনুষ্ঠান।

এতে অতিথি হিসেবে ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ফজলে হাসান আবেদ, উৎসব পরিচালক সাদাফ সায্, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সমালোচক চালর্স ক্যাম্পেবেল বক্তব্য রাখেন।

ফজলে হাসান আবেদ বলেন, “এ দেশে সংস্কৃতির বহু ধারা রয়েছে, সে সঙ্গে তার মধ্যে ঐক্য রয়েছে। আমাদের উন্নয়নের সার্বিক কথাই হচ্ছে, সংস্কৃতির উন্নয়ন।”

লিট ফেস্ট নিয়ে তিনি বলেন, “গত তিন দিন এ উৎসব ছিল এ শহরের সবচেয়ে বড় উৎসব। সে সঙ্গে লিট ফেস্টের আগের পাঁচ বছরের আসরের থেকে এবারের আসর সবচেয়ে সেরা বলে আমি মনে করি। যদিও আমি বেশিরভাগ অধিবেশনই থাকতে পারি নি।”

সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ।

বন্ধু সৈয়দ শামসুল হককে স্মরণ করে তিনি বলেন, “আমি আমার বন্ধুকে মিস করছি। আর তার প্রয়াণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে তার একজন মেধাবী সন্তানকে।”

গতকাল ঢাকা লিট ফেস্টের সমাপনী দিনে স্বতন্ত্র ধারার শিল্পী মনিরুল ইসলামের শিল্পী জীবন ও তার শিল্প ভাবনা নিয়ে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে কসমিক টেন্টে।

এবছর মঈনুল আহসান সাবের তার ‘আবদুল জলিল যে কারণে মারা গেল’ উপন্যাসের জন্য ও মোস্তাফিজ কারিগর তার ‘বস্তুবর্গ’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কারটি পান। মঈনুল আহসান পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে আট লাখ টাকা, ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র পান। মোস্তাফিজের পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেমকন গ্রুপের পরিচালক কথাসাহিত্যিক কাজী আনিস আহমেদ।

২০০০ সালে ‘কাগজ সাহিত্য পুরস্কার’ এর ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে তা জেমকন সাহিত্য পুরস্কার হিসেবে প্রবর্তিত হয়।

কাজী আনিস আহমেদ বলেন, “বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল লেখকদের সম্মানিত করার জন্যই মূলত এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। জেমকন সাহিত্য পুরস্কার সৃষ্টিশীল লেখকদের সৃষ্টিশীল লেখকদের প্রেরণা জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।”

মোস্তাফিজ কারিগর বলেন, “পুরস্কার স্বীকৃতি, এই পুরস্কারটি বড় কিছুর করার প্রেরণা হয়ে থাকবে। আমি আজ বড় কিছুর প্রেরণা পেলাম।  নিজের ভেতরে এক সত্তা অনুভব করতে পারছি, গোটা উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে আমার ভেতরে দম আবিষ্কার করতে পেরেছি।”

কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের বলেন, “৪২ বছরের লেখক জীবন, এখনও তো জানারও সুযোগ নেই সত্যি লেখক হতে পেরেছি কি না। এখন তা ভাবারও দরকা নাই। আমি লেখক না হলে আর কি হতে পারতাম?”

তিনি বলেন, “আমি পুরস্কার পেলে আনন্দ পাই, না পেলে দুঃখিত হই না। পুরস্কারের ক্ষেত্রে অনেক দায়বদ্ধতার কথা বলেন, অনুপ্রেরণার কথা বলেন। তবে আমার মনে হয়, লেখকের অনুপ্রেরণার কিছু নেই।

“পুরস্কার আসলে কি দেয়? সম্মান, বাড়তি স্বীকৃতি বা বাড়তি মূল্যায়ন– আমি এর কোনোটাই মনে করি না।”

সন্ধ্যায় একাডেমির বটতলার মঞ্চে ছিল সমাপনী দিনের সবশেষ আয়োজন, প্রয়াত রব ফকির স্মরণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান; গানে গানে পর্দা নামে এবারের ঢাকা লিট ফেস্টের।

পরে ‘সাহিত্য পুরস্কার দেশে দেশে’ শিরোনামের বৈঠকে অংশ নেন কথাসাহিত্যিক ঝর্ণা রহমান, ত্রিপুরার কবি আকবর আহমেদ, কাজী আনিস আহমেদ, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মঈনুল আহসান সাবের, মোস্তাফিজ কারিগর ও ভারতের কবি জহর সেন মজুমদার।

এ পর্যন্ত ১০ জন কথাসাহিত্যিক পুরস্কার পেয়েছেন জেমকন সাহিত্য পুরস্কার, তরুণ কথাসাহিত্য ক্যাটাগরিতে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পান ১৮ জন।

লিট ফেস্টের সমাপনী দিনে ছিল ৩৯টি অধিবেশন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করেছে যাত্রিক। এ উৎসবে ১৮ দেশের ৬৬ জন বিদেশি এবং দেড় শতাধিক বাংলাদেশি সাহিত্যিক-লেখক-গবেষকরা অংশ নেন।

‘মনির’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

এদিন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলামের জীবন নিয়ে ‘মনির’ নামে বইয়ের প্রকাশনা উৎসবও হয়।

শিল্পীর জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র ও গ্রন্থ প্রকাশ করেছে এনার্জিস লিমিটেড। ইংরেজি ভাষায় লেখা ‘মনির’ শীর্ষক বইটিতে ১৯৬৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মনিরুল ইসলামের নির্বাচিত শিল্পকর্ম নিদর্শন স্থান পেয়েছে।

বইটি প্রকাশ উপলক্ষে আলোচনা ও শিল্পীর সঙ্গে কথপোকথনে অংশ নেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত এদুয়ার্দো ডে লা ইগলেসিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট, এনার্জিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ হোসেনসহ অন্যরা।

সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, “স্পেনে থাকলেও মনিরুল ইসলাম এই মাটির সন্তান। দেশ যার মনে প্রভাব না ফেলে তিনি বড় মাপের কাজ করতে পারে না। তাকে দেখলে তার সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায় বাংলাদেশ তার চেতনায় মিশে রয়েছে।”

মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমি স্পেস আর সময় নিয়ে কাজ করি। শূন্যতা নিয়ে সবসময় নিরীক্ষা করতে ভালবাসি। তবে যখন কোনো কাজ করি এরপরে কখনই সেই কাজের পুনরাবৃত্তি করি না।”

আর যা ছিল সমাপনী দিনে

এর আগে সকাল ৯টায় শুরু হয় সমাপনী দিনের আনুষ্ঠানিকতা। নেদা সাকিবার কণ্ঠে বাহাই সম্প্রদায়ের ভক্তিমূলক সংগীতের উৎসবের সকালে ছিল অন্যরকম আবহ।

সকাল ১০টায় কে কে টি স্টেজে ‘পয়জনড ওয়েলস’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন হিলারি স্টেন্ডিং, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবতাবাদের ইস্যুটি উঠে আসে তার আলোচনায়।

একইসময়ে লন স্টেজে ছিল জেফরি ইয়াং, আহমাতাজান ওসমান, খাদেমুল হাসান, আমিনা ইয়াকিনের আবৃত্তি পরিবেশনা। ১০টায় ব্র্যাক স্টেজে ‘মসলিন মিসটিক’ শিরোনামে আলোচনায় উঠে আসে ঐতিহ্যবাহী মসলিনের গল্প, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ঠাঁই করে নেওয়া মসলিন কি করে অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল একসময়ে, তাও উঠে এসেছে এ পর্বে।

একইসময়ে কসমিক টেন্টে ছিল আট বাংলাদেশি নারীর জীবনযাত্রার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘দ্য সেইন্টস অফ সিন’ শিরোনামের চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী।

পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার, ক্রিকেটার সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, শ্যামলী বসাক অংশগ্রহণে মুখর হয়ে উঠেছিল ‘গার্ল পাওয়ার’ শিরোনামের আলোচনাসভাটি। বেলা ১১ টায় বটতলা মঞ্চে শুরু হওয়া এই আলোচনায় তারা শোনান, সব বাধা উপেক্ষা করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বিশ্বদরবারে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরার গল্পটি।

ফ্রান্সের ‘বুরকিনি’ বা ‘হিজাবি ডল’ বিতর্কের ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হয় ‘হোয়াট নট টু ওআর’ শিরোনামের আলোচনাসভায়।

বেলা সোয়া ১১টায় এই আলোচনায় অংশ নেন সামিনা হক, আমিনা ইয়াকিন, তাসাফি হোসেন, হানিয়াম মারিয়া চৌধুরী। বিশ্বজুড়ে নারীর পোশাক বিতর্কের ইস্যুর পাশাপাশি নারীর চলন-বলন নিয়ে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির নিন্দাও জানান তারা।

সাহিত্য কিংবা চলমান ইস্যু নিয়ে যখন গোটা আসর মাতোয়ারা তখন বেলা সোয়া ১১টায় কে কে টি স্টেজে ছিল চলচ্চিত্র বিষয়ক বৈঠক ‘পর্দার গল্প পাতার গল্প’। আকরাম খান, আনম বিশ্বাস, মোরশেদুল ইসলাম, শাকের আলীর সেই সেশনে ছিল চলচ্চিত্রমোদীদের ভিড়।

আরব সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয় ‘আরব ফিকশন’ বৈঠকে, তাতে অংশ নেন নায়েল এলটোখি, মার্শিয়া লিনেক্স কোয়ালে।

শিশুসাহিত্যে কমিকস, দৈত্য দানো আর সুপারহিরোদের গল্প নিয়ে আলোচনা হয় ‘মনস্টারস অ্যান্ড দ্য সুপারস্টারস’ আসরে। বেলা সোয়া ১২টায় শুরু হওয়া সেই সেশনে আলোচনায় অংশ নেন চাডো ওয়াংমো, সামির আসরান রহমান, অ্যান্থনি ম্যাকগাওয়ান।

দুপুর দেড়টায় মেইন স্টেইজে শুরু হয় ‘যুদ্ধ শেষের যুদ্ধ’ শিরোনামের আসরটি।

ভ্লাদিমির পুতিন নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প- আসছে ভবিষ্যতে বিশ্বরাজনীতির কলকাঠি কে নাড়বেন? কার অঙ্গুলি হেলনেই চলবে গোটা বিশ্বের শাসনব্যবস্থা ? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ব্রতী হয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক বেন জুদাহ। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকোডিঙ টু পুতিন’ শিরোনামের সভায় বিতর্কই যেন নতুন করে উসকে দিয়ে গেলেন তিনি।

ক্রিকেটের নানা সমালোচনা, নানা বিশ্লেষণ কখন যেন ঢুকে পড়েছে সাহিত্যে! চার্লি ক্যাম্পবেল, রিচার্ড বেয়ার্ড, অ্যান্থনি ম্যাকগোয়ান, অ্যালেক্স প্রেসটন-জনপ্রিয় এই ক্রিকেট সমালোচকদের মিলনমেলা বসেছিল তৃতীয় দিনের আসরে। সাহিত্য উৎসবের লন স্টেজে ‘অফ গুগলিস অ্যান্ড চায়নাম্যান’ শিরোনামের এই আসরটি শুরু হয় সাড়ে ১২টায়।

একইসময়ে ব্র্যাক স্টেজে ছিল ‘হিমেল: দ্য লাস্ট স্ট্যান্ড’ শিরোনামের আসরে হিমেল সাউথ এশিয়ানসের ‘ইন কনভারসেশন উইথ কনক দিক্ষিত’ বইটির চূড়ান্ত পর্বটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান।

‘মিহি সুতার কাব্য’ আসরে অ্যানিমেশন, লাইভ পারফরম্যান্সে তুলে ধরা হয় মসলিনের গৌরবময় ইতিহাস।

বাউল হাফেজ দেলওয়ার, বাউল সফি মণ্ডলকে নিয়ে অরূপ রাহীর ‘সত্যের সন্ধানে’ আসরটি শুরু হয় সাড়ে ১২টায়।

১ টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় ‘জেনেটিকস: লাইফ হ্যাকড’ শিরোনামের আসর, তাতে অংশ নেন সঞ্জীব জৈন, আবেদ চৌধুরী।  বায়োটেকনোলজির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয় এই আসরে।

এসময় কির অংশগ্রহণে ‘স্টোরি টেলিং পারফরমেন্স’ অনুষ্ঠান ছিল বটতলায়।

প্রতিটি নৃ-জাতি গোষ্ঠীর কাছে নিজস্ব সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় ‘আদি ও নৃ কথা’ শিরোনামের আসরে। মৃত্তিকা চাকমার সঞ্চালনার আসরে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নিজস্ব সাহিত্যের তুলনামূলক আলোচনায় উঠে আসে মূলধারার সংস্কৃতিতে আদিবাসী সাহিত্যের উপেক্ষার কথা।

বিকেল ৩টায় মূল মঞ্চে ছিল ‘পোয়েট্রি: স্টিল হেয়ার আফটার অল দিস ইয়েটস’ শীর্ষক অধিবেশন, সঞ্চালনা করেন আমিনা ইয়াকিন। আলোচনা করেন পুলিৎজার বিজয়ী কবি বিজয় শেষাদ্রী, খাদেমুল ইসলাম ও জেফরি ইয়াং।

এ সময় বটতলায় বরিশালেল মনসামঙ্গল সম্প্রদায় মঞ্চস্থ করে ‘বেহুলা-লখিন্দর’; আর লনে ছিল কবিতা পাঠের আসর। ‘সময়ের কবিতা সময়ান্তেরের কবিতা’ শিরোনামে এ আয়োজনে সঞ্চালনা করেন সমকালের জনপ্রিয় কবিরা। আসরের সঞ্চালক ছিলেন কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা।

বিকাল সোয়া ৪টায় কেকে টি স্টেজে ছিল ড্যানিয়েল হানের সঞ্চালনায় ‘বুক অব ঢাকা’ শীর্ষক অধিবেশন। এতে আলোচনা করেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অরুনাভ সিনহা, কায়সার হক ও কিউপি আলম।

বিকেল সাড়ে ৫টায় কেকে টি স্টেজে ‘অনুবাদে পূর্ব পশ্চিম’ শীর্ষক অধিবেশনে সঞ্চালনা করেন মাসরুর আরেফিন। আলোচনা করেন মাসুদ আহমেদ, নাজমুন নেসা পিয়ারি, হামিম কামরুল হক ও শামসাদ মুর্তজা।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বটতলায় ছিল প্রয়াত রব ফকির স্মরণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে শিকড় বাংলাদেশের শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের ঢাকা লিট ফেস্ট।