৮০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মরক্কোর মারাকাসের বাব ইগলিতে স্থানীয় সময় দুপুরে কনফারেন্স অব পার্টিজ (কপ-২২)-এর উচ্চ পর্যায়ের ‘সেগমেন্টের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে শেখ হাসিনা সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, কপ-২২ এর প্রেসিডেন্ট সালাডিন মেজুর ও ইউএনএফসিসির নির্বাহী সচিব পেট্রিসিয়া এপিনোসা।
বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ফটোসেশনের পর সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন নেতারা।
তিন দিনের উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সুপারিশ প্রণয়ন এবং আগের সম্মেলনের সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে বিভিন্ন দেশের নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরবেন।
গত বছর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে যে চুক্তি হয়েছিল তা বাস্তবায়নে এই সম্মেলনে একটি রূপরেখা প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তির পর এটাই প্রথম বৈঠক হচ্ছে। প্যারিস চুক্তিকে প্রথমেই যে কয়টি দেশ অনুসমর্থন করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের প্রথম দিন বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলনে ফ্রান্স, মালি, মরক্কো, চিলে, কুয়েত, সেনেগাল, কঙ্গো, সিয়েরা লিওন, ইরাক, সুইজারল্যান্ড, ফিলিস্তিন, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান অংশ নিচ্ছেন।
মারাকাসের বাব ইগলিতে ৭ নভেম্বর শুরু হয়েছে কপ-২২ এর কার্যক্রম, চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বের ১৯৫টি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। গত বছর ডিসেম্বরে প্যারিস চুক্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল কপ-২১।
কপ-২২ এ যোগ দিতে সোমবার রাতে মরক্কোর মারাকাসে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে যোগদান শেষে বুধবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।