ঢাকা উত্তরে বসছে আরও ৫,০০০ সিসি ক্যামেরা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আরও পাঁচ হাজার সিসিটিভি (ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন) ক্যামেরা বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আনিসুল হক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2016, 10:13 AM
Updated : 11 Nov 2016, 12:29 PM

রাজধানীর গুলশানে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নির্বাচনের আগে বলেছিলাম, সিটিটিভি লাগাবো। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পুলিশের সঙ্গে মিলে এই এলাকায় ৬৫৬টি সিসিটিভি লাগিয়েছি। আরও ৫০০ এর মতো ক্যামেরা লাগাচ্ছি।

“আমরা আরও ৫ হাজার ক্যামেরা কেনার কথা ভাবছি এবং সেটাও লাগাবো।”

১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে অক্টোবরে গুলশানের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আরও ৫০০ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো প্রক্রিয়া শুরু হয়।

নভেম্বরের মধ্যেই গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন এলাকায় এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছিল।

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো পর ছোটখাটো অপরাধ কমে এসেছে বলে এই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ।

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের কর্পোরেট হেড অফিস জিপি হাউজে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘স্মার্ট সিটি হ্যাকাথনের’ উদ্বোধন করেন মেয়র।

মেগাসিটি ঢাকার বাস্তব সমস্যার ‘ডিজিটাল সমাধান’ করতে প্রেনুয়ার ল্যাব ও গ্রামীণফোনের ইনোভেশন সেন্টার হোয়াইট বোর্ড ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথনের আয়োজন করেছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র অভিজাত এলাকায় সড়ক দখলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গরিব হকারকে তাড়াতে পারি, পুলিশ তাড়াতে পারে। বড়লোক হকার কিছু আছে যারা পুলিশকে তাড়াতে পারে।

“তারা সব গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় রাস্তা বানাতে গিয়ে প্রতিটি ব্লক কিছু না কিছু জমি দখল করে আছে।”

যাতায়াত সমস্যা নিরসনে ঢাকায় তিন হাজার নতুন বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আনিসুল হক।

“সব বাস কোম্পানিকে একত্রে ছয়টি কোম্পানি করে ৬ রংয়ের বাস করার চিন্তা-ভাবনা আছে। এতে বাস ব্যবস্থাপনা সহজ হবে; প্রতিযোগিতা কমে যাবে। কারণ কোম্পানিগুলো নিজ নিজ লভ্যাংশ পাবে।”

নাগরিক সেবায় বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের অভাব পূরণে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার রাস্তাঘাট পরিস্কার করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান জানান, প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় ৩০টি দল অংশ নিচ্ছে।

“বিজয়ী দল হোয়াইট বোর্ডের সঙ্গে জিপির ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে কাজ করার সুযোগ পাবে। এছাড়া তাদের দেওয়া ধারণা বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপনের জন্য একটি বিশেষ ডেমো ডে’র আয়োজন করা হবে।”

বিজয়ী দলকে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দিতে স্পাইডার ডিজিটাল (দুবাই) এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।