শাহবাগে অবরোধ, বিক্ষোভের মুখে হানিফের সংহতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির-বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2016, 11:30 AM
Updated : 4 Nov 2016, 12:47 PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব‌্যানারে একটি মিছিল দুপুরের আগে টিএসসি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে অন‌্যান‌্য সংগঠনের সঙ্গে নাসিরনগরের ঘটনার প্রতিবাদে মানবন্ধনে অংশ নেয়। পরে বেলা সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগে এসে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের একটি অংশ। 

তাদের অবরোধের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ মোড় হয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফেরার পথে ওই বিক্ষোভে আটকা পড়েন ক্ষমতাসীন দলের নেতা হানিফ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হানিফের গাড়ি থেকে একজন নেমে এসে গাড়িটি ছেড়ে দিতে বললে শিক্ষার্থীরা আপত্তি তোলে। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডায় জড়ালে বিক্ষোভকারীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

এ সময় হানিফের গাড়িতে কয়েকজনকে লাথি মারতে দেখা যায়। কয়েকটি জুতাও এসে গাড়ির ওপর পড়ে বলে প্রত‌্যক্ষদর্শীরা জানান।

পরে হানিফ বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নাসিরনগরে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিল। সব গাড়িই আটকে গেছিল। পরে আমি নেমে কথাবার্তা বলায় শিক্ষার্থীরা চলে গেছে।”

‘ইসলাম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ওসির উপস্থিতিতে সমাবেশে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের পর ওই হামলার ঘটনা ঘটায় স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এরপর শুক্রবার সকালে একই এলাকায় হিন্দুদের পাঁচটি ঘর ও মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়।  

শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ছিল- ‘আমার ঘরে হামলা কেন/ প্রশাসন জবাব চাই, আমার মন্দির ভাঙল কেন/ প্রশাসন জবাব চাই’।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবে মানববন্ধন শেষে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিল। সোয়া ১টার দিকে তারা চলে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।”

মাহবুব-উল-আলম হানিফের গাড়ি আটকা পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আজাদ বলেন, “অবরোধ চলাকালে উনার গাড়িও দাঁড়িয়েছিল। পরে উনি নেমে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অংশ নেন।”