আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পড়লেও নিম্নচাপের প্রভাব শুক্রবারও থাকবে এবং বর্ষণও অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে শুক্রবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে সফররত ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট। সেই ম্যাচ শুরুর আগে ক্রিকেটভক্তদের চোখ থাকছে আকাশের দিকেও।
তিনি জানান, বৃষ্টির শঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না; সারাদিন না হলেও থেমে থেমে বৃষ্টি থাকতে পারে; ফাঁকে সূর্যের দেখাও মিলতে পারে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শুরুতে পানির উষ্ণতা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মিয়ানমারের দিকে এগোলেও সোমবার তা উল্টো ঘুরে উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের বিশাখাপত্তম উপকূলের দিকে এগোতে শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, “এর প্রভাবে দিনভর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে; শুক্রবারও তা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমবে।”
বৃহস্পতিবার ঢাকায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ফরিদপুরে ৩৬ মিলিমিটার, যশোরে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সঙ্কেত নামিয়ে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দেওয়া রয়েছে।