সড়কের সঙ্গে দলেও শৃঙ্খলা, লক্ষ‌্য ওবায়দুল কাদেরের

মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে চার বছর ছুটোছুটি করে সফল হতে না পারলেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে সুশৃঙ্খল করাকেই লক্ষ‌্য ঠিক করেছেন ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2016, 01:01 PM
Updated : 27 Oct 2016, 01:01 PM

তিনি বলেছেন, “দুই ক্ষেত্রেই আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, আমার দলকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা।”

বাংলাদেশের অন‌্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার চার দিন পর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্রের (ভিআইসি) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়নে কিছুটা সফলতা দাবি করতে পারলেও সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সফলতা দাবি করতে পারি না।”

আলোচিত ওবায়দুল কাদের গত ২৩ অক্টোবর ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সড়কে ওবায়দুল কাদেরের এরকম বিচরণ গত চার বছরের চিত্র

দুই ভূমিকায় সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে আশাবাদী এই আওয়ামী লীগ নেতা।

“আমাকে সড়ক দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখতে হবে, আওয়ামী লীগ দেখতে গিয়ে সড়ক দেখতে হবে। কিন্তু কাজের মধ্যে একটা ফাইন ব্যালেন্স আমি করতে পারব। এ অ্যাডভানটেজ আমার আছে।”

বিআরটিএতে ‘সিন্ডিকেট থাকবে না’

চার বছর আগে সড়ক যোগাযোগের দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি অভিযোগ করেন, গত সরকারের আমলে বিআরটিএতে পাঁচটি ভিআইসি সেন্টার থাকলেও ‘রহস্যময়’ কারণে একটিও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

“এগুলো চালু হওয়ার আগেই এমনভাবে ‘ড্যামেজ’ করা হয়েছে যে আর ঠিক করা যায়নি। একটা দুষ্টচক্র এ কাজটি করেছে। এদের একটা সিন্ডিকেট ছিল। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোথাও কোনো সিন্ডিকেট আমি কাজ করতে দেব না।”

আগে যানবাহনের ফিটনেস ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হওয়ায় তা সঠিকভাবে দেখা যেত না। এতে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি ছিল বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

ভিআইসি উদ্বোধনের পর দেখছেন ওবায়দুল কাদের

“এসব ফাঁকিঝুকি পুরোদমেই চলেছে। অনেকের গাড়ি বাসা অথবা গ্যারেজে রেখেই এখান থেকে নাম্বার দিয়ে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। এটা শুনতে খারাপ লাগলেও অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।”

ভিআইসি হওয়ায় আর ফাঁকির উপায় থাকবে না বলে ওবায়দুল কাদের মনে করেন।

সারাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় আরও ৫টি ভিআইসি স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

এজন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা কোইকার সহায়তা চান মন্ত্রী।

ঢাকায় সেন্টারটি স্থাপন করতে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে কোইকা অনুদান দিয়েছে ২১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বাকি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিক, কোইকোর আবাসিক প্রতিনিধি জো হাইয়ুং।