গত ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত পর থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে খাদিজার।
বৃহস্পতিবার তার বাবা মাসুক মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার রাত ১১টার দিকে ওকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছে।”
সকালে কোনো অসুবিধা ছাড়াই নার্সরা খাদিজাকে পাউরুটি, লাচ্ছি, জেলি ও চা খাওয়াতে পেরেছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার নার্গিস ‘আস্তে করে আব্বু’ ডাকলেও ‘আজ কোনো কথা বলেনি’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেন মাসুক মিয়া।
খাদিজার স্মৃতিশক্তি নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হয়ে ‘সময় দেবার' পরামর্শ দিয়েছেনহাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের পরামর্শক মির্জা নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “এটা প্রসেস অব রিহেবিলিটেশন,আস্তে আস্তে সে সবাইকে চিনতে পারবে।”
গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা।বদরুলের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে খাদিজার মাথার খুলি ভেদ করে মস্তিষ্ক জখম হয়।
হামলার পর ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ৪ অক্টোবর বিকালে খাদিজার অস্ত্রোপচার করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়।
এরপর আঘাতে ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয় ১৭ অক্টোবর।
“সব ঠিক থাকলে দুই-তিন সপ্তাহ পর ওর বাম হাতে অপারেশন করার কথা জানিয়েছেন ডাক্তাররা,” বলেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া।