ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাঈল বৃহস্পতিবার এই মামলার যুক্তিতর্কের জন্য ৩১ অক্টোবর পরবর্তী দিন রাখেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আসগর স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাঠগড়ায় দাঁড়ানো শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।”
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মী হারিয়ে গেছে জানিয়ে শাহাদত মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার কয়েক ঘণ্টা পর খন্দকার মোজাম্মেল হক নামে এক সাংবাদিক পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি থেকে মাহফুজা আক্তার হ্যাপি নামের ওই গৃহকর্মীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন।
পরে ওই কিশোরী থানায় শাহাদত ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।উদ্ধারকারী সাংবাদিক বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এরপর মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের বাসা থেকে পুলিশ শাহাদত ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ১১ বছরের ওই গৃহকর্মী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে ২৯ ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক শফিকুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
কিছু দিন কারাগারে থাকার পর ডিসেম্বরেই জামিনে কারামুক্ত হন শাহাদাত ও তার স্ত্রী। তবে জাতীয় ক্রিকট দলে আর স্থান হয়নি শাহাদাতের।
এ মামলায় শাহাদাত ও নিত্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ বছর ও সর্বনিম্ন সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।