আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শুরু থেকেই বিচিত্র আচরণ করতে থাকা এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ পশ্চিমে সরে গিয়ে শুক্র বা শনিবার নাগাদ অন্ধ্র উপকূলের কাছকাছি পৌঁছাতে পারে।
উপকূলে আঘাত হানার আগেই ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও এর প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপট চলতে পারে আগামী দুদিন।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান এম মহাপাত্রের বরাত দিয়ে দি হিন্দু লিখেছে, “এই ঘূর্ণিঝড়টির উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।”
২৯ অক্টোবর নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সানাউল হক খান আগেই বলেছিলেন, কায়ান্টের বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসার সম্ভাবনা কম। এর সম্ভাব্য গতিপথ ভারতের দিকে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শও রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য স্থানে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
বুধবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। এসময় দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।