মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার

পুনঃখনন শেষে অবশেষে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বাগেরহাটের মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2016, 03:11 PM
Updated : 27 Oct 2016, 12:27 PM

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করে এই চ্যানেলটি উন্মুক্ত করার পাশাপাশি নবনির্মিত ১১টি ড্রেজারের উদ্বোধন করবেন।

নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও নৌ সচিব অশোক মাধব রায় গণভবনে এবং বিআইডব্লিউটএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক বাগেরহাটে উপস্থিত থাকবেন বলে বুধবার নৌ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

৩১ কিলোমিটার মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথের মধ্যে ২৬ কিলোমিটার পথ ১৩ থেকে ১৪ ফুট গভীরতা ও ২০০ থেকে ৩০০ ফুট প্রশস্ত করে খনন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

নৌপথটি চালু হলে ৮১ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মংলা-ঘষিয়াখালীর রমজানপুর এলাকায় একটি লুপকাট করায় আরও পাঁচ কিলোমিটার দুরুত্ব কমেছে।

অভ্যন্তরীণ নৌপথের ৫৩টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং (১ম পর্যায় ২৪টি নৌপথ) খনন প্রকল্পের আওতায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই নৌপথটি খনন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, আমদানি করা মালামাল নৌপথ দিয়ে দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে পরিবহনসহ বাংলাদশ-ভারত নৌপ্রটোকল রুটে চলাচলের জন্য মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানল ভূমিকা রাখছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল খনন করে তা উন্মুক্ত করেন।

১৯৮০’র দশকে মংলা-ঘষিয়াখালী সংযুক্ত খালগুলোর মুখ বন্ধ করে চিংড়ি চাষ ও পোল্ডার নির্মাণ করায় চ্যানেলটির ভরাট হতে শুরু করে।

২০০১ সালের পর থেকে এই চ্যানেলের নাব্যতা সংকট শুরু হয়। ২০১০ সাল থেকে পুরোপুরি শুকিয়ে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ২০১৪ সালের জুলাই থেকে নৌ-পথটি খনন শুরু হয়। ২০১৫ সালের মে মাস থেকে পরীক্ষামূলভাবে চ্যানেলটি খুলে দেওয়া হয়।