রাষ্ট্রপতির কাছে নরওয়ে ও পাকিস্তানি দূতের পরিচয়পত্র পেশ

নরওয়ে-বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের অনেক সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করে দেশটির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2016, 03:05 PM
Updated : 26 Oct 2016, 03:05 PM

বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত নতুন নওরেজিয়ান দূত সিডসেল ব্লেকেন বঙ্গভবনে পরিচয় পত্র দিতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশের সুবিধা নিয়ে নরওয়ের বিনিয়োগকারীদের এ দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।”

সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নরওয়েকে এসময় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় নরওয়ের নতুন দূত বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক ক্রমান্বেয়ে বাড়ছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে তিনি আশা করেন।

নরওয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করছে উল্লেখ করে নতুন দূত বলেন, ভবিষ্যতে তার দেশের বিনিয়োগকারীরা আরও বিনিয়োগ আগ্রহী হবেন।

জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করেন নতুন দূত।

নতুন দূত বলেন, জলবাযু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় নরওয়ে বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবে।

সিডসেল ব্লেকেন এসময় তার কর্মকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা চান।

পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকি রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয় পত্র পেশ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, “সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়। বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা করতে আগ্রহী।”

রাষ্ট্রপতি এসময় নতুন পাকিস্তানি দূতকে তার কাজে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে জানান প্রেস সচিব।

রাফিউজ্জামান সিদ্দিকি এসময় বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন এবং ক্রিকেটের সাফল্যের প্রশংসা করেন।

তিনি আরও বলেন, তার দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

এর আগে দুই দূত বঙ্গভবনে গেলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাদেরকে আলাদাভাবে গার্ড অব অনার দেয়।