গীতাঞ্জলি সম্মাননা পদক পাচ্ছেন তিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

সাংস্কৃতিক সংগঠন গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘গীতাঞ্জলি সম্মাননা পদক’ পাচ্ছেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি আসাদ চৌধুরী ও শিল্পী রফিকুন নবী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2016, 11:06 AM
Updated : 26 Oct 2016, 11:06 AM

প্রতিষ্ঠার যুগপূর্তিতে গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি শুক্রবার থেকে আয়োজন করছে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের। ওইদিন বিকাল ৫টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

গীতাঞ্জলি একাডেমির উপদেষ্টা ইমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের হাতে তুলে দেওয়া হবে ‘গীতাঞ্জলি সম্মাননা পদক’।

বুধবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির পরিচালক মাহবুব আমির মিঠু জানান, এবারের তিনদিনের উৎসবে থাকছে গীতাঞ্জলি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, শিশু-কিশোর চিত্র প্রদর্শনী (সকালবেলার পাখি), বার্ষিক সনদপত্র বিতরণী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মঞ্চনাটক ‘মুনীর চৌধুরী’র প্রদর্শনী।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আসরে প্রধান অতিথি থাকবেন সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন। 

শিল্পকলা একাডেমিতে ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আসরে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

সেদিন সন্ধ্যার আসরে অতিথি থাকবেন ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল, শহীদ মুনীর চৌধুরীর সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়।

পরে থিয়েটার অঙ্গন মঞ্চস্থ করবে তাদের দশম প্রযোজনার নাটক ‘মুনীর চৌধুরী’, নাটকটি নির্দেশনা দেবেন প্রবীর দত্ত।

২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমি সংগীত, নৃত্যকলা, চিত্রকলা, বাদ্য ও আবৃত্তিসহ ১১টি বিভাগে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক শিক্ষা দিচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিত ও অটিস্টিক শিশুদের জন্য একাডেমির ‘প্রাণের গানে রঙের মেলা’ নামে একটি বিশেষ কার্যক্রমও রয়েছে।

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে ‘বিশেষ অবদানের’ জন্য একাডেমি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ‘গীতাঞ্জলি সম্মাননা পদক’ প্রবর্তন করে। প্রতিষ্ঠার ১১ বছরে তারা ২৩ জন ব্যক্তিত্বকে এই সম্মাননা দিয়েছে।