আইপিইউ সম্মেলন: সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করতে চায় বলে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2016, 09:31 AM
Updated : 26 Oct 2016, 09:31 AM

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আইপিইউর ১৩৫তম সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনায় এ কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার।

ফজলে রাব্বী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিপক্ষে অবস্থান করে এবং এসব সমস্যা মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করে।

“গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরেধী অপরাধ প্রতিরোধ করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক দায়িত্ব বলেও বাংলাদেশ বিশ্বাস করে। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী।”

ডেপুটি স্পিকার আইপিইউকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট, সরকার এবং বেসরকারকারি সংস্থার মাধ্যমে নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তিনি আইপিইউকে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধের উপায় বের করতে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট নিয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরির আহ্বান জানান ।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, অনুমিত হিসাব সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

গত ২২ অক্টোবর প্রতিনিধি দল জেনেভা যায়।

ডেপুটি স্পিকার রোহিঙ্গা শরনার্থী বিষয়ে বলেন, “বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ও অনিবন্ধিত নাগরিকদের আশ্রয়, খাদ্য,বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।”

তিনি ঢাকায় আগামী বছর আইপিইউর ১৩৬তম সম্মেলনে অংশ নিতে বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণ জানান।

বাংলাদেশ-থাই সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের আহ্বান

এর আগে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলে সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। থাই পার্লামেন্টের  প্রতিনিধি বিলাইভন সামপাটিসিরি তার দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী এসময় বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যাওয়া রোগীদের সুবিধার্থে দোভাষী নিয়োগের অনুরোধ জানান। এছাড়া দুই দেশের ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।