মঙ্গলবার এনআইএর কর্মকর্তারা বলেন, ভারতীয় জাল নোটের ৮০ শতাংশই বাংলাদেশ দিয়ে ভারতে ঢুকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনআইএর এক কর্মকর্তা বলেন, জাল রুপির পাচার বন্ধে বাংলাদেশ তদন্ত সংস্থাগুলো উদ্যোগী। কিন্তু জাল নোট শনাক্ত করতে তাদের প্রশিক্ষণের দরকার।
ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই), অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া বলে তিনি জানান।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “জাল নোট পাচারের এই হুমকি মোকাবেলায় আমরা তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের প্রস্তাবও দিয়েছি।”
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের আগে ভারতে কী পরিমাণ জাল নোট ছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় তা বের করতে কলকাতাভিত্তিক একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয় এনআইএ। ওই প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ভারতে এখন ৭০ হাজার কোটি রুপির সমপরিমাণ মূল্যের জাল নোট আছে।
এনআইএ ও আরবিআই কর্মকর্তাদের মতে, এই অর্থ ভারতে ছড়িয়ে দিতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বড় ভূমিকা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ পর্যন্ত জাল অর্থের এক-তৃতীয়াংশ ধরতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করা হয়।
এনআইএর কর্মকর্তারা মনে করেন, জাল রুপির পাচার বন্ধে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়ানোয় পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সংস্থাগুলো ভারতীয় রুপির জাল নোট পাচারের এসব চক্রের বেশ কিছু ভেঙ্গে দিয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে জাল নোটবোঝাই শিপিং কন্টেইনারও আটক করা হয়।
ভারতের কর্মকর্তারা জানান, জাল রুপি ধরতে বাংলাদেশকে যন্ত্রও সরবরাহ করা হবে, যেগুলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইমিগ্রেশন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বসানো হবে।
এছাড়া জাল নোট শনাক্ত করতে বাংলাদেশে একটি ফরেনসিক পরীক্ষাগার স্থাপনেও ভারত সহযোগিতা করবে বলে তারা জানান।