শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসব আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান মৃদুল রহমান বলেন, আসছে বছরের ১৩ ও ১৪ মে ওয়াশিংটনের টিসি উইলয়ামস মিলনায়তনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রবাসের নতুন প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বাংলা ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মূল ভাবধারা তুলে ধরাই এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।”
আয়োজকরা বলছেন, ‘বাংলা উৎসব’-এর মধ্য দিয়ে তারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অবস্থানের ‘জানান দিতে’ চান।
নাট্য অভিনেতা পীরজাদা শহিদুল হারুন বলেন, “দেশের বাইরের নতুন বাংলাদেশি প্রজন্ম দেশীয় সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।”
বাঙলির পাশাপাশি অন্য দেশের যারা বাংলা ভাষা, সাহিত্য, শিল্প নিয়ে পড়ালেখা করছেন, তারাও যেন বাংলাদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে, উদ্বুদ্ধ হতে পারেন, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর আশা করছেন আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সাইমন জাকারিয়া।
এর আগে দেশের বাইরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেসব অনুষ্ঠান হয়েছে, তাতে বাংলাদেশকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি দাবি করে মৃদুল রহমান বলেন, তারা ‘শুধুমাত্র প্রকৃত শিল্পীদের’ এই উৎসবে নিয়ে যেতে চান।
স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা আব্দুর জব্বার এ আয়োজনে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, “অনুষ্ঠান করব বলা যত সহজ; করা ঠিক ততটাই কঠিন। কারণ এই প্রোগ্রাম অনেক ব্যয়বহুল।”
প্রাথমিকভাবে ৭৩ হাজার ডলারের (প্রায় ৫৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা) বাজেট ধরার কথা জানিয়ে মৃদুল বলেন, প্রবাসীদের সঙ্গে এ আয়োজনে সরকারের সহযোগিতা পেলে অনুষ্ঠান ভালো হবে।
এ উৎসব আয়োজনের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছে ওয়াশিংটনের অন্যতম বাংলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সঙ্গঠন বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গন।
মৃদুল বলেন, তারা ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সাংস্কৃতিক দল নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
এছাড়া সেমিনার; বইমেলা; প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী; মৃৎ, চারু ও কারুশিল্প প্রদর্শনী, বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, চর্যাগীতির পরিবেশনা, স্বদেশী বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনী ও পরিবেশনা, ময়মনসিংহ গীতিকা, জারিগান, পালাগান, রবীন্দ্র ও নজরুল জলসা, পঞ্চকবির গানের আসর, নাটক, গীতিনৃত্যসহ যাত্রাপালার আয়োজন থাকছে বলে জানান তিনি।