জঙ্গিদের দেহে উত্তেজক কিছু পাওয়া যায়নি

গুলশানে হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের পর কমান্ডো অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গিসহ সাম্প্রতিক সময়ে নিহত ‘নব্য জেএমবি’র সদস্যদের দেহে স্নায়ু উত্তেজক কোনো রাসায়নিক পাওয়া যায়নি বলে  ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2016, 05:12 PM
Updated : 20 Oct 2016, 05:12 PM

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিকবিভাগের সহকারীঅধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বৃহস্পতিবার জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান, কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়ি ও নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় নিহত ১৮ জনের রক্ত ও ভিসেরারনমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন তারা।

“তাদের রক্তে রাসায়নিক কিছু পাওয়াযায়নি।”

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানবেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন কমান্ডো অভিযানেনিবরাজ ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের,রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও সাইফুল চেীকিদার নিহত হন। এদের মধ্যে সাইফুল ছাড়া বাকিরা ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে।

এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবেকানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরীকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ২৭ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি বাসায় পুলিশের অভিযানে তামিমসহ তার দুই সহযোগী তওসিফ হোসেনও ফজলে রাব্বী নিহত হন।

এরমধ্যে ২৭ জুলাই কল্যাণপুরের‘তাজ মঞ্জিল’-এ পুলিশের অভিযানে নিহত হন ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য আকিফুজ্জামান খান (২৪), সেজাদ রউফ অর্ক (২৪), তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), রায়হান কবির ওরফে তারেক, মতিউর রহমান (২৪), আব্দুল্লাহ (২৩), আবু হাকিম নাইম (২৪) ও জোবায়ের হোসেনসহ (২২) নয়জন।

এদের মধ্যে অর্ক গুলশান হামলাকারীনিবরাজের বন্ধু ছিলেন। আর রায়হান নিবরাজসহ অন্য হামলাকারীদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণদিয়েছিলেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।

নৃশংস কায়দায় মানুষ হত্যার মাধ্যমেসারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া আইএস জঙ্গিরা ‘ক্যাপ্টাগন’ নামের এক মাদক গ্রহণ করে দিনের পর দিন যুদ্ধ চালিয়েযাচ্ছেন বলে গোয়েন্দা ও সমর বিশেষজ্ঞদের সন্দেহের কথা গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ আলোচিত হয়।

এরমধ্যে গুলশানের ওই ক্যাফেতেহামলা চালিয়ে নৃংশসভাবে হত্যা করা হয় জিম্মি ২০ জনকে।

সোহেল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকমকে বলেন, “এই ১৮ জনের রক্ত ও ভিসেরারনমুনা মহাখালীতে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলম, তারা শক্তিবর্ধক কিছু খেয়ে এই জঙ্গি কাজে লিপ্ত হয়েছিলকি না তা জানার ছিল।

“কিন্তু তাদের রক্তে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য পাওয়া যায়নি।”