বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন বৃহ্স্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পিংকীর বান্ধবী রাবেয়া কুলসুম মুক্তা মঙ্গলবার রাত ১২টার পর পিংকীর ছোটভাই শরীফকে মোবাইলে ফোন করে তার বোনের খুব মন খারাপ, খুব কান্নাকাটি করছে বলে জানান। শরীফকে পিংকীর বাসায় গিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করতেও অনুরোধ করেন তিনি।
এরপর রাতেই আফতাবনগরে বোনের ভাড়া বাসায় ছুটে যান শরীফ। ভিতর থেকে কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পান তিনি।
নামিয়ে পিংকীকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান এসআই মামুন।
তিনি জানান, আফতাবনগরের ওই ফ্ল্যাটে ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী সহকর্মীও পিংকীর সঙ্গে থাকতেন। এক মাস ধরে ওই নারী মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় পিংকী সেখানে একাই ছিলেন।
মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া এই এসআই বলছেন, “মুক্তা ছিল পিংকীর বান্ধবী। কেন সে শরীফকে ফোন করে পিংকীকে শান্ত করতে বোনের বাসায় যেতে বলেছিল সেটি বের করা গেলে অনেক রহস্য বের হয়ে আসবে।”
পিংকী ওই দিন মুক্তা ছাড়া আর কার কার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর চট্টগ্রামের হালিশহরে পিংকীকে দাফন করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক আ খ ম শফিউজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পিংকীর দুই বাহুতে আঁচড়ের মতো কাটা দাগ ছিল।
“সে নিজেই ব্লেড জাতীয় ধারাল কোনো কিছু দিয়ে নিজেকে আঘাত করেছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে-এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।”
এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই পিংকীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে জানিয়ে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যদি তার মৃত্যু আত্মহত্যায়ও হয়ে থাকে, তাহলে কেউ তাকে প্ররোচিত করেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
এ বিষয়ে কথা বলতে পিংকীর ছোটভাই ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরীফের সঙ্গে ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।