সম্পর্ক জোরদারে ‘শিগগির’ আসছেন চীনা প্রেসিডেন্ট: আশরাফ

চীন-বাংলাদেশ ‘আত্মিক’ সম্পর্কে সম্পৃক্ত মন্তব্য করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সেই সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে ‘শিগগির’ ঢাকা আসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2016, 12:58 PM
Updated : 1 Oct 2016, 01:42 PM

অগাস্টে এক সপ্তাহ চীন সফর করে আসা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “চীন ও ভারতবর্ষের সভ্যতার মতোই তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুরনো। হাজার বছর আগে জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর পায়ে হেঁটে চীন পৌঁছে ছিলেন এ অঞ্চলের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য।

“দুই দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে সে সম্পর্ক আজও অব্যাহত আছে।”

চীনাদের সঙ্গে বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “কৃষ্টি, কালচার, আধুনিকতা ও ধর্মীয় চেতনা নিয়ে এদেশের মানুষ যেভাবে ভাবেন, চর্চা করেন, চীনেও তাই। তাদের নৈতিক আদর্শের সঙ্গেও আমাদের মিল আছে। সুতরাং উভয় দেশের মেলবন্ধন যতটুকু না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি আত্মিক।”

চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আশরাফ।

শি জিনপিং

তিনি বলেন, “চীনের রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশের মাটিতে শীঘ্রই পা রাখবেন। এটা দুই দেশের জন্যই আলোচিত ঘটনা। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে।”

চীনা বিপ্লবের ৬৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে এসব বলেন সৈয়দ আশরাফ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ইয়াং জাও হুই বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত আছি এবং থাকব। আমরা চাই দুই দেশের সু-সম্পর্কের মাধ্যমে উন্নত চিন্তার বিকাশ ঘটবে।”

সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বক্তব্য দেন।