১৭ দিন আগে ঈদুল আজহার পরদিন কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। কানাডা জিএফ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নিউ ইয়র্কে গিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য তা পরিবর্তন হয়। নিউ ইয়র্ক থেকে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাড়ি ভার্জিনিয়ায় যান তিনি।
ভার্জিনিয়ার ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকার পথে রওনা হন শেখ হাসিনা।
দুবাইয়ে তার যাত্রাবিরতি ছিল। সেখান থেকে ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হওয়ায় দেশে দেড় ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান তিনি।
কুশল বিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
বিমানবন্দরে মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররাফ হোসেন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ওবায়দুল কাদের, দীপু মনি, ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আসাদুজ্জামান নূর, এ বি তাজুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, সাহারা খাতুন, এ কে এম রহমতউল্লাহ, কামরুল ইসলাম, আবদুস শহীদ, আবদুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মুজিবুল হক, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তারানা হালিম, মেহের আফরোজ চুমকি, ইসমত আরা সাদেক, হাবিবুর রহমান খান সিরাজ, নাহিম রাজ্জাক প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকার দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাইদ খোকনও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনাকে ‘গণঅভ্যর্থনা’ দিতে বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিকালের আগেই অবস্থান নিয়ে ছিল।
তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ নানা রঙের বেলুন। শেখ হাসিনার গাড়িবহর যাওয়ার সময় তারা স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান, ছিটানো হয় ফুলের পাপড়িও।
তাদের অবস্থানের কারণে বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে; যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সুশৃঙ্খলভাবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এই কর্মসূচির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আমরা তাকে কিছু দিতে পারব না। শুধু একটু ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাব।”
গত বুধবার ভার্জিনিয়ায় ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনীর সঙ্গে নিজের জন্মদিন কাটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্যেও গত ছয় দিনে রাষ্ট্রীয় ৫১টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে তিনি সই করেন বলে মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি’ গানের কয়েক চরণ গেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান বন্যা।
এসময় নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, নৃত্যশিল্পী শিবলী মুহাম্মদ ও শামিম আরা নীপাসহ সংস্কৃতিকর্মীরা গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বি এম মোহাম্মেল হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদও এসময় উপস্থিত ছিলেন।