প্রধানমন্ত্রীর বিমান পৌঁছাচ্ছে দেড় ঘণ্টা দেরিতে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটির শুক্রবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় থাকলেও এতে দেরি হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2016, 09:41 AM
Updated : 30 Sept 2016, 10:19 AM

শুক্রবার বিকালে বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে এমিরেটসের ওই ফ্লাইটসূচিতে গিয়ে দেখা যায়, এটির শাহজালালে অবতরণের সম্ভাব‌্য সময় সন্ধ‌্যা ৬টা ৩৮ মিনিট লেখা আছে।

যোগাযোগ করা হলে ঢাকায় এমিরেটসের অপারেশন শাখার এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুবাই এয়ারপোর্টে কিছুটা দেরি হয়েছে। সে কারণে বিমানটি পূর্ব নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা বিলম্বে ৬টা ৪৮ মিনিটে অবতরণ করবে।”

দুবাইয়ের স্থানীয় সময় ১০টা ২০ মিনিটে ফ্লাইটটির রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এটি ছেড়েছে সোয়া ১২টায়। এই দেরির কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি এমিরেটসের ওই কর্মকর্তা।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার এমিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকার পথে রওনা হন শেখ হাসিনা। দুবাইয়ে তার যাত্রাবিরতি ছিল।

এদিকে জাতিসংঘ সফর শেষে ফেরা প্রধানমন্ত্রীকে ‘গণঅভ‌্যর্থনা’ দিতে বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিকালের আগেই অবস্থান নিয়েছে।

বিকাল ৪টার দিকে বনানীর কাকলী, খিলক্ষেত, জোয়ার সাহারা থেকে বিমানবন্দরের আশপাশে তাদের অবস্থান দেখা যায়। কিছু স্থানে তারা সড়কের মধ‌্যে উঠে আসায় যান চলাচলে ব‌্যাঘাত ঘটছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও একদিন আগে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সুশৃঙ্খলভাবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ছুটির দিন হলেও শুক্রবার ঢাকায় দুটি বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ভর্তি এবং বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থাকায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি।

দীর্ঘ সড়কজুড়ে ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচির কারণে অনেকে আগের অভিজ্ঞতায় যানজটের শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন, যদিও ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা যানজট এড়াতে সক্রিয় থাকার কথা বলে আসছেন।

বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে এই কর্মসূচির যৌক্তিকতা ব‌্যাখ‌্যা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আমরা তাকে কিছু দিতে পারব না। শুধু একটু ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাব।”

১৭ দিনের বিদেশ সফর শেষে ফিরছেন শেখ হাসিনা। ঈদুল আজহার একদিন পর রওনা হয়ে প্রথমে কানাডা যান তিনি।

মন্ট্রিয়ালে ‘ফিফথ রিপ্লেসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড (জিএফ)’-এ অংশগ্রহণ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি নিউ ইয়র্ক যান।

জাতি সংঘে সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’  গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

২৬ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর জন্য তা পরিবর্তন হয়। নিউ ইয়র্ক থেকে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাড়ি ভার্জিনিয়ায় যান তিনি।

গত বুধবার সেখানেই ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনীর সঙ্গে নিজের জন্মদিন কাটে শেখ হাসিনার।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ‌্যেও গত ছয় দিনে রাষ্ট্রীয় ৫১টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে প্রধানমন্ত্রী সই করেন বলে মুখ‌্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।