বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে এসব কাঁকড়া জব্দ করেন বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক মইনুল খান।
তিনি বলেন, ১৮০ কার্টুনে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে কম ওজনের রপ্তানির চেষ্টার সময় অভিযানে তিন হাজার ৬৪ কেজি ওজনের ওইসব অপরিণত কাঁকড়া ধরা পড়ে।
ঢাকার তুরাগের ব্লক বি এর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর লেনের ২৩ নম্বর বাড়িতে তমা ইন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাঁকড়াগুলো রপ্তানির চেষ্টা করছিল। রপ্তানিকারক একটি এয়ারওয়ে বিলের মাধ্যমে ড্রাগন এয়ারের মাধ্যমে বুকিং করেছিল।
জব্দ করা কাঁকড়া পচনশীল হওয়ায় বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই শুল্ক কর্মকর্তা।
তিনি জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বরও রপ্তানিকালে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে শুল্ক গোয়েন্দরা তিন টন অপরিণত কাঁকড়া আটক করেছিল।
ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ড্রাগন এয়ারের একটি ফ্লাইটে কাঁকড়া রপ্তানির খবর আগে থেকে বৃহস্পতিবারের অভিযানটি পরিচালিত হয় বলে জানান মইনুল খান।
এই শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ কাঁকড়া রপ্তানি নীতিমালা ১৯৯৮ ও বন সংরক্ষকের দপ্তর হতে চলতি বছর জারি করা আদেশ অনুযায়ী পুরুষ কাঁকড়া সর্বনিম্ন ২০০ গ্রাম এবং স্ত্রী কাঁকড়া সর্বনিম্ন ১৩০ গ্রামের নিচে বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ।
কেউ এই নিয়মের বাইরে কোনো রপ্তানি করলে বা চেষ্টা করলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বৃহস্পতিবার চালানের পণ্য গুলোর মধ্যে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে কম ওজনের কাঁকড়া পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, সরকার নির্ধারিত ওজনের কাঁকড়ার রপ্তানি মূল্য বেশি। কিন্ত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কম মূল্যে এই ছোট কাঁকড়া রপ্তানির চেষ্টা করছে। এতে সরকারের বৈদেশিক হারানোর মুদ্রা ঝুঁকি থাকে।
এক টন অপরিণত কাঁকড়ার বর্তমান বাজার মূল্য এক লাখ টাকা জানিয়ে মইনুল খান বলেন, “অন্যদিকে এক মাসের ব্যবধানে এই কাঁকড়া পরিণত হয়ে আড়াই টন হতে পারে, যা দিয়ে ১০ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতে পারে।”