বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের ভাড়াটিয়াদের তথ্যের গোপনীয়তা ভাঙার এই অভিযোগ ওঠার পর সন্ধ্যায় রাজধানীর নিউ মার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটছে না।
ঢাকার বিভিন্ন বাড়িতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর গতবছর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের এই কাজ শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এক পৃষ্ঠার যে ফরম ভাড়াটিয়াদের পূরণ করতে দেওয়া হয়, সেখানে ভাড়াটিয়ার ছবির পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখসহ বাসার বাসিন্দা এবং গৃহকর্মী ও ড্রাইভারের তথ্য চাওয়া হয়।
কাগজের ফরমে ভাড়াটিয়াদের হাতে লেখা ওইসব তথ্যই নীলক্ষেতের কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে ব্যবসায়ীদের দিয়ে ডিএমপির সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিআইএমএস) সার্ভারে এন্ট্রি করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
নাগরিকদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা ডিএমপির সিআইএমএস সার্ভারের পাসওয়ার্ডও ব্যবসায়ীদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয় গণমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে।
নিউ মার্কেট থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যবসায়ীদের কাছে কোনো ধরনের ফরম পুলিশ দেয়নি। পাসওয়ার্ড দেওয়া তো দূরের কথা। পাসওয়ার্ড ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য ফরম সব পুলিশের কাছেই রয়েছে।”
পুলিশ ভাড়াটিয়াদের তথ্য এন্ট্রি করতে তাদের দায়িত্ব দিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা কেন দাবি করছেন জানতে চাইলে ওসি বলেন, “এটি তদন্ত করে দেখা হবে। তারা সত্য কথা বলছেন না। এটাই বাস্তবতা।”
ঢাকার ৪৯টি থানার প্রতিটি থানায় অন্তত ৪০ হাজার করে ফর্ম জমা হয়েছে। ফলে এত ফরম এন্ট্রি করাটা দুষ্কর বলে মন্তব্য করেন ডিএমপির এক উপ-কমিশনার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতি সপ্তাহে এক হাজার করে ফরম পূরণ হলেও কাজ শেষ করতে অনেক সময় লাগবে। কাজের সুবিধার জন্য কেউ অন্য কাউকে দিয়ে তথ্য এন্ট্রি করানোর কাজ করিয়েও থাকতে পারে।”