ধাত্রীদের পেশাগত সনদ দিতে নতুন আইনের প্রস্তাব সংসদে

নার্সিং পেশার পাশাপাশি ধাত্রীবিদ্যায় (মিডওয়াইফারি) ডিগ্রিধারীদের পেশাগত সনদ দিতে আইন করার প্রস্তাব উঠেছে সংসদে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2016, 03:32 PM
Updated : 28 Sept 2016, 03:32 PM

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বুধবার ‘বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল বিল-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে বিলটি চার সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৮৩ সালের বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল অধ‌্যাদেশ বাতিল করে কিছু সংশোধনীসহ নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে আনা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে ২২ সদস্যের কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ কাউন্সিল নার্সিং ও ধাত্রীবিদ্যায় ডিগ্রিধারীদের স্বীকৃতি দেবে। পাশাপাশি নার্স, ধাত্রী ছাড়াও তাদের সহযোগীদের নিবন্ধন করতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে কাউন্সিল দেশের বাইরে থেকে নার্সিং ও ধাত্রীবিদ্যায় ডিগ্রিধারীদেরও সনদ দেবে।

নিবন্ধন ছাড়া কেউ নার্সিং, ধাত্রী বা সহযোগীর পেশায় নিয়োজিত থাকলে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

আইনে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নার্সিং, ধাত্রী বা সহযোগী পেশার শিক্ষা কার্যক্রম চালালে ওই প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

আর ভুয়া পদবী ব্যবহার করলে এক বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার কথা বলা হয়েছে বিলে।

এতে বলা হয়েছে, আইন বহির্ভূত কাজ করলে নার্স ও ধাত্রীদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। নিবন্ধন বাতিলে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে সরকারের কাছে আপিল করতে পারবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি নতুন কোর্স চালুসহ সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ায় প্রস্তাবিত আইনে নার্সিং এর পাশাপাশি ‘মিডওয়াইফারি’ সংযোজন করা হয়েছে।”

বিভাগীয় পর্যায়ে বিআরডিবি কার্যালয় খুলতে বিল

বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) কার্যালয় স্থাপনের বিধান রেখে ১৯৮৬ সালের অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে সংসদে বিল তোলা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল-২০১৬’ সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিদ্যমান আইনে বিআরডিবির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে, জাতীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস প্রতিষ্ঠার বিধান রয়েছে। নতুন আইনে বিভাগীয় পর্যায়ে অফিস স্থাপনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) সমবায় সমিতি নিয়ে কাজ করে। সমবায় সমিতিগুলোর নিবন্ধন দেয় সমবায় অধিদপ্তর। আর এদের অর্থ, প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনাগত সহায়তা দেয় বিআরডিবি।

বর্তমানে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বিআরডিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান। প্রস্তাবিত আইনে মন্ত্রী না থাকালে প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীরা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ বলেন, “দেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নে অধিকতর কার্যকরী ভূমিকা রাখা এবং একাডেমির আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিলটি প্রণয়ন করা সমীচীন।