‘গুলশানের কায়দায় ভারতে হামলার ছক কষছিল গ্রেপ্তার জঙ্গিরা’

জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা ঢাকার গুলশানের মতো একই কায়দায় ভারতে হামলার ছক কষছিল বলে তথ‌্য পাওয়ার দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2016, 10:14 AM
Updated : 28 Sept 2016, 10:15 AM

রাজ্য পুলিশের বরাত দিয়ে কলকাতা টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে বিচারক হত‌্যা মামলার আসামি জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত‌্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে ভারতে ওই হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে গ্রেপ্তার ছয় জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই হামলা পরিকল্পনার তথ্য জেনেছে বলে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাইসহ ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও পলাতক থাকায় সে সময় বেঁচে যান আসাদুল ইসলাম আরিফ।

২০০৭ সালে আরিফ ময়মনসিংগে গ্রেপ্তার হলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত অগাস্টে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত‌্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিলে আরিফের জন‌্যও ফাঁসিকাষ্ঠ অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়।

পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “জেএমবির শীর্ষ কমান্ডার আরিফের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে। তার সাজা কার্যকরের সপ্তাহখানেকের মধ্যে হলি আর্টিজান বেকারির মতো হামলার পরিকল্পনা করছিল নিষিদ্ধ সংগঠনটি।”

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন। 

টেলিগ্রাফ লিখেছে, সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গির মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেপ্তার আনোয়ার হোসেন ফারুক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন, তার বাংলাদেশি সহযোগীদের সঙ্গে ভারতে সালাউদ্দিন নামের সংগঠনের এক শীর্ষ নেতার যোগাযোগ রয়েছে। হামলায় ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক সংগ্রহরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সালাউদ্দিনকে।

এক পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিফের মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে জেএমবি এই হামলার মধ্যে দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

জএমবির এই হামলার পরিকল্পনা তথ‌্য বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন। 

২০০৫ সালে নিষিদ্ধ করার পরপরই বআংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জেএমবি।