বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান ও ভুটান এবারের সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়ার পর সম্মেলন স্থগিতের বিষয় অনিবার্য হয়ে ওঠে।
সার্কের সদস্য ওই চার দেশ ইতোমধ্যে তাদের অপারগতার কথা জোটের বর্তমান চেয়ার নেপালকে জানিয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সম্মেলন পুরো বাতিল না করে স্থগিত করার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে নেপাল।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তবে এ অঞ্চলের যা পরিস্থিতি, তাতে সহসা এ সম্মেলন আয়োজন করা সহজ হবে বলে মনে হয় না।”
নেপালের প্রধান ইংরেজি দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টও সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিতের খবর দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়াকে এক সূত্রে গাঁথার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৫ সালে গঠিত জোট সার্ক এখনও আশার সঞ্চার ঘটাতে পারেনি। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণের পথে বারবারই দিশা হারিয়েছে এই জোট।
সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মিরে সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর নয়া দিল্লি পাকিস্তানকে দায়ী করে। জাতিসংঘ অধিবেশনেও এ নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তেজনা ছড়ায়।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিকাশ স্বরূপ মঙ্গলবার ইসলামাবাদ সম্মেলন বয়কটের কথা জানিয়ে পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে বলেন, সন্ত্রাস ও সহযোগিতা একসঙ্গে চলতে পারে না।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়া এবং তা নিয়ে কূটনীতিক টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশও সার্ক সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানায়।
ওই সিদ্ধান্ত কাঠমান্ডে সার্ক সচিবালয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন।
আট জাতির এই জোটের অপর দুই সদস্য আফগানিস্তান ও ভুটানও একই পথে হাঁটায় আঞ্চলিক পর্যায়ে অনেকটাই নিঃসঙ্গ অবস্থায় পড়ে পাকিস্তান।
সার্কের রীতি অনুযায়ী, জোটভুক্ত একটি দেশও অংশ নিতে অপারগ হলে সম্মেলন হতে পারে না।
পাকিস্তান বলছে, যদিও এ ব্যাপারে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তারপরও সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দুঃখজনক।