এমপিকে নিয়ে মন্তব্যে দণ্ড: ইউএনও-ওসির বিষয়ে আদেশ ১৮ অক্টোবর

সংসদ সদস‌্যকে নিয়ে ফেইসবুকে মন্তব‌্যে টাঙ্গাইলের এক স্কুলছাত্রকে ভ্রাম‌্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ওসির বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী ১৮ অক্টোবর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2016, 07:53 AM
Updated : 27 Sept 2016, 08:45 AM

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ মঙ্গলবার দুই কর্মকর্তার বক্তব‌্য শুনে আদেশের জন‌্য এই দিন ঠিক করে দেয়।

আদালতের আদেশে সকালে সখিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সখিপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম আদালতে হাজির হয়ে স্কুলছাত্রকে কারাদণ্ড দেওয়ার ব‌্যাখ‌্যা দেন।

কারাদণ্ড পাওয়া নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রও আদালতে ঘটনার বর্ণনা দেন।

স্কুলছাত্রকে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের নজরে আনলে গত ২০ সেপ্টেম্বর দুই কর্মকর্তাকে তলবের আদেশ আসে।

একই বেঞ্চ দুই কর্মকর্তাকে ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হয়ে কারাদণ্ডের বিষয়ে ব‌্যাখ‌্যা দিতে বলেছিল।

আদালতে ওসির পক্ষে ছিলেন নুরুল ইসলাম সুজন আর ইউএনওর পক্ষে ছিলেন শ ম রেজাউল করিম।

আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন আদালতে বলেন, “সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে ঘটনা যেভাবে এসেছে, তা সঠিক না।”

অন‌্যদিকে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে গাজাসহ আটক করে মোবাইল কোর্টে দেওয়া হয়েছিল। গাজা পাওয়ার ঘটনায় তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গণমাধ‌্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, টাঙ্গাইল-৮ বাসাইল-সখিপুর আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, যেখানে অভিযোগ করা হয়, একটি ফেইসবুক আইডি থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার প্রতিমা বঙ্কি এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রকে আটক করে ১৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

সাজার আদেশের পরদিন সকালে ওই কিশোরকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন সখিপুরের ওসি মাকছুদুল আলম।