সরকারি দলের সংসদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার সংসদে মন্ত্রী আরও জানান, প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন আছে।
মন্ত্রী বলেন, “প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট ও কুমিল্লা শহরে টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
“বাজেটের অর্থায়নে ঢাকা মহানগরে আটটি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বাহিনীর আবাসন সঙ্কট নিরসনে সকল জেলায় নারী ও পুরুষ ব্যারাক সম্প্রসারণের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
প্রশ্ন করতে গিয়ে গোলাম মোস্তফা জানতে চান, পুলিশ সদস্যরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছেন। তাদের ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় বাসা-বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে, এমন ব্যক্তিদের গতিবিধি লক্ষ রাখা হচ্ছে।”
“জঙ্গিবাদের অর্থের যোগানদাতা ও অর্থের উৎস সন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”
এ ছাড়া পর্যটন এলাকায় বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় কর্মরত ও অবস্থানরত বিদেশিদের নিরাপত্তায় পুলিশি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।”
মো. আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “ঢাকা মহানগরীতে সড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা থাকে। যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসব গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। তবে এসব মার্কেট, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনে কেন গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রাজউকের।”
সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, “পুলিশ বাহিনীর মোট মঞ্জুরিকৃত জনবল এক লাখ ৬৯ হাজার ১৩১ জন। দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের এই জনবল যথেষ্ট নয়। বর্তমান সরকার পুলিশের ৫০ হজার জনবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৬৪১টি পদ সৃজন করা হয়েছে। অবশিষ্ট পদ সৃজনের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।”
মোয়াজ্জেম হোসেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “দেশের সকল জেলায় রেললাইন নির্মাণ করা হবে। যেসব জেলায় রেল লাইন নেই, সেখানে নতুন রেল লাইন স্থাপন করা হবে। আর যেসব জেলায় রেল লাইন আছে, সেসব লাইন সংস্কার করা হবে।”