শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, অফিস সময়ের পরে কারও সচিবালয়ে অবস্থানের প্রয়োজন হলে আগে থেকে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই নির্দেশনায় সংশোধনী আনার কথা সাংবাদিকদের জানান।
“প্রজ্ঞাপনটি এমন ছিল যে বিকাল ৫টার পর আর কেউ সচিবালয় থাকবে না। প্রজ্ঞাপনটিতে কিছুটা সংশোধনী এনে আমরা ফাইনাল করছি। আমরা সংশোধন করছি, মন্ত্রী মহোদয়রা ও সচিবরা এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় আসবেন না।
“তারা যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ মন্ত্রণালয়ে কাজ করবেন এবং তাদের সঙ্গে যারা যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদেরই প্রয়োজন হবে, তারা সেখানে (মন্ত্রণালয়) থাকবেন।”
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অবস্থানে এই বিধি-নিষেধের কারণ জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার ফাইন্ডিংস লক্ষ্য করেই এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।”
কী ধরনের গোয়েন্দা তথ্য এসেছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেমন হোটেল রেস্টুরেন্ট। এগুলো সম্পর্কে গোয়েন্দারা বলেন, এই সব হোটেল-রেস্টুরেন্টের লোকজন রাত্রি যাপন করেন এবং সচিবালয়ের ভেতরেও আরও কেউ কেউ রাত্রি যাপন করেন।”
কোনো ধরনের হুমকি থেকে নয়, নিরাপত্তার আগাম প্রস্তুতি এবং শৃঙ্খলার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রী-সচিব ছাড়া কারও যদি প্রয়োজন হয় ৫টার পর থাকার, তাহলে নিরাপত্তা বাহিনীকে জানিয়ে কাজ করতে হবে।