ঢাবিতে বিএনপি সমর্থক শিক্ষকদের রামপালবিরোধী মানববন্ধন

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করে সুন্দরবন থেকে বিদ‌্যুৎকেন্দ্র করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক সাদাদলের শিক্ষকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2016, 09:34 AM
Updated : 26 Sept 2016, 10:08 AM

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রামপালবিরোধী মানববন্ধন থেকে এই দাবি তোলা হয়।

‘সুন্দরবন বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও’ স্লোগানে বেলা ১২ থেকে ১টা পর‌্যন্ত মানববন্ধনে অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

মানবন্ধনে লিখিত বক্তব‌্যে বলা হয়, ক্রমবর্ধামন চাহিদা নিরসনে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিকল্প নেই। কিন্তু কোনভাবেই তা সুন্দরবনের মতো নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিকে ধ্বংস করে নয়।

বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে যদি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয়, তবে রামপালে নয়, বরং পরিবেশ ঝুঁকি কম- এমন কোনো স্থানে প্রকল্প স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়।

সাদাদলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই, সুন্দরবন একটাই। এই সুন্দরবন ধ্বংস হলে কেউ তৈরি করতে পারবে না, যাবেও না। কিন্তু বিদ‌্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার মতো অনেক জায়গা আছে।

“তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে রামপাল সরিয়ে অন্য কোথাও নির্মাণ করা হোক। দেশের জনগণ, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এর বিরোধিতা করছে, তাই আমরা জাতি ও বিশ্বের সাথে ঐক্যমত প্রকাশ করছি।”

সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক সদরুল আমিন বলেন, “ভারত সরকার বনাঞ্চল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারে না, সেখানে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে, এটা হবে অপূরণীয় ক্ষতির সিদ্ধান্ত।”

সরকার বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে না নিয়ে জনস্বার্থে বিবেচনায় নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দেশের পরিবেশের রক্ষায় কয়লা নয়, সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে মত দেন সদরুল আমিন।

সিন্ডিকেট সদস্য মো. লুৎফর রহমান জানান, সুন্দরবনের অনতিদূরে তার বাড়ি।

তিনি বলেন, “সুন্দরবন থেকে জীবিকা নির্বাহ করে এই এলাকার মানুষ। সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে ইকো সিস্টেম নষ্ট হবে; পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।”

যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, লায়লা নূর ইসলাম, মো. আখতার হোসেন খান, হাসান তালুকদার, সুকোমল বড়ুয়া।