বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন ওই কারখানায় ১৬ দিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের বেঞ্চ সোমবার ব্যাংক হিসাব জব্দের এই নির্দেশ দেয়।
তবে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বেতন ভাতার অর্থ ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে বাধা নেই বলে আদালত জানিয়েছে। পাশাপাশি এই তিন খাতে এ পর্যন্ত কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে কারখানা মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই কারখানায় হতাহত শ্রমিকদের ‘পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও দিয়েছে আদালত।
শ্রম ও কর্ম সংস্থান সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, কারখানা মালিক মকবুল হোসেনসহ ১৯ জনকে এর জবাব দিতে হবে।
আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। কারখানার মালিকপক্ষে ছিলেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার।
গত ১০ সেপ্টেম্বর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই ঘটনার পর মালিকপক্ষ নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এছাড়া লাশ বহনের জন্য জেলা প্রশাসন ২০ হাজার টাকা করে দেবে বলে জানায়।
টাম্পাকোতে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় কারখানার মালিক মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথাও বলা হয়েছে গাজীপুরের পুলিশের পক্ষ থেকে।