আবাসিক এলাকায় এই কার্যালয়ের কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এই সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোর সমন্বয়কারী সংস্থা হল গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিল অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশন (গামকা)।
সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ইতোমধ্যে নতুন কার্যালয় খুঁজে পেয়েছেন। সময়সীমার মধ্যেই তারা নতুন ঠিকানায় চলে যাবেন।
এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের কারণে গুলশানের ওই সড়কের আশপাশের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে গুলশান সোসাইটি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়রের কাছে একাধিকার অভিযোগ করেছেন।
মেয়র বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানে আসা লোকজন রাস্তায় বসে থাকে বলে যানবাহন চলতে পারে না। সড়কে ময়লা আবর্জনা ফেলে ড্রেনগুলো নষ্ট করে ফেলছে। ফুটপাতেও লোকজন দাঁড়িয়ে থাকে।”
মেয়র জানান, গুলশান এলাকায় যেসব প্রতিষ্ঠান এভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেসব প্রতিষ্ঠানকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মেয়রের ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান গামকার মহাব্যবস্থাপক মো. লাহুয়ার রহমান।
গামকা প্রায় ১২ বছর ধরে গুলশান-২ এর ৯৪ নম্বর সড়কে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে যেতে আগ্রহীদের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিবন্ধনপত্র (স্লিপ) নিতে হয় গামকা কার্যালয় থেকে।
এ নিবন্ধনপত্র নিয়ে নির্ধারিত ২৬টি মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় বিদেশ গমনেচ্ছুরা।
গামকায় যাওয়ার আগে মেয়র কাকলী থেকে বনানী ১১ ও ১৮ নম্বর সড়ক হয়ে গুলশান ৫০ নম্বর সড়ক ঘুরে দেখেন।
এ সময় ফুটপাতে থাকা নিরাপত্তা ব্লক অপসারণ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনওয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গুলশান সোসাইটির মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন।