উপায় নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে না বললেও বিষয়টি নিয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা থেমে নেই বলে জানান তিনি।
রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “আমিতো বললাম, যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি, সেটা হচ্ছে, কানাডায় একটা আইন আছে, যে দেশে মৃত্যুদণ্ড বহাল আছে, মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, সেই দেশের এমন কোনো আসামি যদি কানাডায় থাকে, তাকে ফেরত পাঠানো হবে না- আমাদের বাধা এখানে।”
আইনের ওই বিধানটি রক্ষা করে কীভাবে নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানো যায় তা কানাডার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
আইনে স্পষ্ট বাধা থাকলেও তা কীভাবে সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, “এটা হওয়ার নিশ্চয়ই কারণ আছে। সব ব্যাখ্যা এখন দেওয়া সম্ভব না, আমার জানা থাকলেও।
“ব্যাপারটা হচ্ছে, উপায় আছে বলেই আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, উপায় না থাকলে আলাপ-আলোচনা হতো না। ”
এর আগে বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা জজ ও দায়রা জজ এবং সম মর্যাদার কর্মকর্তাদের ১৪দিনের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তব্য রাখেন।
নূর চৌধুরীসহ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ছয়জন বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকরের দাবি রয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চালানোর কথাও বলা হচ্ছে।
মৃত্যুদণ্ডবিরোধী কানাডা নূর চৌধুরীকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এলেও গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কানাডা সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলোচনায় তাকে ফেরত পাঠানোর উপায় খুঁজতে মতৈক্য হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এরপর নূর চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল করে কানাডা তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদপত্রে খবর ছাপা হলেও তা ঠিক নয় বলে জানান মন্ত্রী।