মানহানির মামলায় জাগোনিউজের সম্পাদকসহ ৪ জনকে তলব

মাদক বিক্রিতে বাধাদানকারীকে মাদক বিক্রেতা বানিয়ে খবর পরিবেশন করার অভিযোগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক সুজন মাহমুদসহ চারজনকে একটি মানহানি মামলায় তলব করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2016, 05:00 PM
Updated : 24 Sept 2016, 05:00 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস শনিবার তাদের বিরুদ্ধে এই সমন জারি করেন।

ঢাকার সাভার থানার মানিকনগর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের দায়ের করা এ মামলায় অপর আসামিরা হলেন- জাগোনিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, বার্তা সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল এবং প্রতিবেদক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার আরজিতে বলা হয়, দেলোয়ারের ছোটভাই আনোয়ার হোসেন আমজাদ মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় একটি চক্র ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তাকে চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। মারধরের চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ।

ভাইকে হত্যার ঘটনায় দেলোয়ারের দায়ের করা এক মামলায় গত ৩০ অগাস্ট ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বাপ্পি ও রুবেল নামে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাবুল নামে একজনকে খালাস দেয়।

তবে ওই রায়ের খবর প্রকাশের সময় জাগোনিউজ নিহত আমজাদকে মাদক বিক্রেতা বলে উল্লেখ করে।

এ ঘটনায় পত্রিকাটির সম্পাদকসহ ওই চারজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি করেছিলেন দেলোয়ার।

মামলায় বাদীর আইনজীবী জাহিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকটি গণমাধ্যমে হত্যা মামলাটির রায় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে জাগোনিউজ ‘মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যায় দুইজনের যাবজ্জীবন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

“অথচ মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র এবং রায়ের বিবরণে কোথাও নিহতকে মাদক বিক্রেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয় নি। বরং মামলাটির আসামিদের মাদক বিক্রেতা বলা হয়েছে।”

ওই প্রতিবেদনে নিহত আমজাদকে মাদক বিক্রেতা বলে মিথ্যা, মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয় দাবি করে আইনজীবী জাহিদুর বলছেন, ওই অভিযোগে বাদী আসামিদেরকে প্রথমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। আসামিরা লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার পরও কোনো জবাব না দেওয়ায় শনিবার মামলা দায়ের করেন।