জাদুঘরে গান ও কবিতার যুগলবন্দি

শরৎ সন্ধ্যায় ভেসে বেড়ালো গানের সুর, সেই সঙ্গে উচ্চারিত হলো কবিতার শব্দমালা; সব মিলিয়ে সঙ্গীত সন্ধ্যা হয়ে  উঠল আরো আকর্ষণীয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2016, 03:18 PM
Updated : 24 Sept 2016, 03:18 PM

শবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গান ও কবিতার এই যুগলবন্দি আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা সূর্যমুখী।

দর্শক-শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত এ অনুষ্ঠানের কণ্ঠশিল্পী নাসিমা শাহীন ফ্যান্সীর গানের সঙ্গে কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী শিরিনা বিথী।  

অনুষ্ঠানে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম,  সাবেক সেনাপ্রধান ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহ-সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন-অর-রশিদ (অব.) অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠযোদ্ধা শাহীন সামাদ, কণ্ঠশিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক ও কণ্ঠশিল্পী নাশিদ কামাল।

আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক মুহঃ আবদুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন সংস্কৃতিকর্মী শফিকুল ইসলাম সেলিম।  

গানকে অশুভ শক্তির বিপক্ষে এক ‘শৈল্পিক প্রতিবাদ’ হিসেবে মন্তব্য করে বক্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন  গড়ে তোলার শপথ নেন।  রাজনীতি নয়, বরং সংগীতের সুরে তারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বানও জানান সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি।

নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী গেয়ে শোনান, ‘আমি এক সাগরে গান শোনাবো’, ‘এক বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে’, ‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’, ‘চাঁদ হেরিছে চাঁদ মুখ তার’, ‘এক বৈশাখে দেখা হলো দুজনে’সহ ১৫টি গান।

এছাড়া দেশাত্মবোধক, নজরুলসঙ্গীত ও অতুলপ্রসাদের গানসহ বেশ কয়েকটি আধুনিক গান গেয়ে শোনান তিনি।

শিরিনা বীথি আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ুন আজাদ ও সুবোধ সরকারের কবিতা।