মার্সিডিজ ফেলে মালিক উধাও, ভেতরে চিঠি

বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি পড়ে আছে খোলা আকাশের নিচে; ভেতরে চিঠি- ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজের দখলে থাকা গাড়িটি জমা প্রদান করলাম’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2016, 11:49 AM
Updated : 31 August 2016, 11:49 AM

রাজধানী কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে এমন একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, “এটা একটা অভিনব ঘটনা। গোয়েন্দা অফিসের সামনে এভাবে রাতের অন্ধকারে স্বেচ্ছায় গাড়ি রেখে যাওয়ার ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি।”

তিনি বলেন, “গাড়ি খুলে এর ভেতর একটি খোলা চিঠি পাওয়া গেছে। যাতে লেখা ছিল, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমার দখলে থাকা গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দার সদর দপ্তরে জমা প্রদান করি’।

চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, ‘আমি এই গাড়িটি জমা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই যে, আমার মত অন্যরাও যেন অনুরূপভাবে অবৈধ গাড়ি জমা প্রদান করেন।’

শুল্ক গোয়েন্দাদের চলমান অভিযানকে স্বাগত জানানো হয়েছে চিঠিতে; তবে কার গাড়ি, কে মালিক এসবের কোনো উল্লেখ ছিল না।

মইনুল খান বলেন, জমা করা গাড়িটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি দুই দরজার লাল রঙের এসএলকে ২৩০ মডেলের মার্সিডিজ বেন্জ। এর চেসিস নং WDB1704652F415642।

গাড়িটির ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ২৩০০ সিসি এবং ২০০২ সালে তৈরি।

“ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটি কারনেটের আওতায় দেশে আনা হয়েছিল। শর্ত অনুযায়ী বিদেশে ফেরত নেওয়ার কথা থাকলেও শর্ত ভঙ্গ করে কারনেট সুবিধার অপব্যবহার করে দেশে চালানো হয়েছিল।”

বর্তমানে দেশব্যাপী অবৈধ গাড়ি আটকে অভিযান পরিচালনায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই গাড়ি স্বেচ্ছায় জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালক।

এর আগে সিলেটের শুল্ক গোয়েন্দার দপ্তরে একজন অবৈধ গাড়ির ব্যবহারকারী স্বেচ্ছায় একটি লেক্সাস গাড়ি জমা দেন।

এই নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা মোট ৩২টি অবৈধ গাড়ি আটক করেছে’ তথ্য দিয়ে মইনুল বলেন, আটক করা এই গাড়িটির শুল্কসহ মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।