সব হামলার নেতৃত্বেই তামিম: আইজিপি

নারায়ণগঞ্জে পুলিশি অভিযানে নিহত তামিম চৌধুরীই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংঘটিত সব হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বলে দাবি করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 05:56 PM
Updated : 30 August 2016, 07:25 PM

মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী, তিনি শুধু এই গুলশান-শোলাকিয়া নয়, নর্থ বেঙ্গল, ঢাকা, টাঙ্গাইল, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সবগুলো তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঘটেছে।”

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহতের পর কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরীর নাম আলোচনায় আসে। পুলিশ বলে, ‘নব্য জেএমবি’ নেতা তামিমের পরিকল্পনায় গুলশানের ওই হামলা হয়।

এরপর তার সন্ধান চেয়ে তথ্যের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ।

গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় একটি বাড়িতে অভিযানের পর পুলিশ জানায় সেখানে নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে তামিম চৌধুরী রয়েছেন।

তামিম চৌধুরী

এ অভিযানের জন্য পুলিশ সদরদপ্তরে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্য, ডিএমপির সোয়াট ও সিটি টিমকে ধন্যবাদ জানান আইজিপি।

“তারা অত্যন্ত সফলভাবে অভিযান (নারায়ণগঞ্জে)পরিচালনা করেছে,” বলেন তিনি।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় হতাহতদের পুলিশ সদস্যদের সহায়তার জন্য বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের এসআই শিরু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইজিপি।

ওই দুই ঘটনায় নিহত চার পুলিশের পরিবারকে ডিএমপির পক্ষ থেকে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং গুলশান হামলায় আহত তিন পুলিশ সদস্যকে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১৬ লাখ টাকা এবং আহত পুলিশ সদস্যদের ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

এর মধ্যে গুলশানে নিহত সহকারী কমিশনার রবিউল করিমের স্ত্রী উম্মে সালমার নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, তার দুই সন্তানের নামে ২০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত এবং বনানী থানার ওসি সালাউদ্দীনের স্ত্রী রেম কিমের নামে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও তার দুই সন্তানের নামে ২২ লাখ টাকার স্থানীয় আমানত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে রবিউলের শ্বশুর মো. শাহজাহান,সালাউদ্দীনের স্ত্রী রেম কিম ও দুই সন্তানসহ তার চার ভাই,শোলাকিয়ায় নিহত পুলিশের কনস্টেবল জহিরুল ইসলামের মা জুবেদা খাতুন, আনছারুল হকের স্ত্রী নুরুন্নাহার ও তার মা রাবেয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের জানানো হয়, গুলশানে হামলায় ২৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন, যাদের তিনজন এখনও সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।

তারা হলেন- এসআই ফারুক হোসেন, সুজন কুমার কুণ্ডু ও এএসআই নূর জামাল। তাদের স্বজনরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১ জুলাই ‍গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালালে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বোমায় নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দীন।

এর এক সপ্তাহের মাথায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের সকালে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলা হয়।