১৫ অগাস্ট জন্মদিন: খালেদাকে আদালতে তলব

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার দিনে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালন বন্ধের আর্জি জানিয়ে করা এক মামলা আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে তলব করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 10:53 AM
Updated : 30 August 2016, 11:10 AM

বিএনপিনেত্রীকে আগামী ১৭ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে নিজের ব‌্যাখ‌্যা দিতে হবে বলে আবেদনকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলামের করা এক আর্জি শুনে মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। 

গাজী জহিরুলের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুকে ‘হেয় করতেই’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালন করে আসছেন।

আবেদনকারীর আইনজীবী দুলাল মিত্র বলেন, “দণ্ডবিধির ৪৬৯ ধারায় করা এই আবেদনে বলা হয়েছে। খালেদা জিয়া জাতীয় শোক দিবসে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই জন্মদিন পালন করেন বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শীদের ছোট করতে এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় শোক দিবসকে ম্লান করার জন্য।”

মামলার আবেদনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মেশিন রিডেবেল পাসপোর্টের ফটোকপি, বিয়ের কাবিননামা, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মার্কশিট এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খালেদা জিয়ার জীবনবৃত্তান্ত সংক্রান্ত একটি কাটিং আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন দুলাল।

এ মামলার আর্জিতে কয়েকজন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত দুই যুগ ধরে ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন হলেও তার আরও কয়েকটি জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। তার জন্মসাল নিয়েও দুই রকম তথ‌্য পাওয়া যায়। 

খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে থাকলেও বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় গত বছর জানান, তার নেত্রীর জন্ম ১৯৪৫ সালে।

বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট দেখানো হয়েছে।

বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা নেতা নাজমুল হুদা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, জোটসঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর প্ররোচনায় ১৫ অগাস্ট জন্মদিন উদযাপন করা শুরু করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

আওয়ামী লীগ নেতারা রাজনৈতিক নানা আলোচনায় ১৫ অগাস্ট শোকের দিন কেক না কাটার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন খালেদা জিয়াকে।

এ বছর খালেদা কেক না কাটলেও তার জন্মদিন পালন করতে মিলাদের আয়োজন করে বিএনপি।

খালেদার এই কেক না কাটাকে তার ‘রাজনৈতিক উদারতা’ হিসেবে দেখলে ভুল হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৬ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে বলেন “শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার জন্য, আমাদেরকে আঘাত দেওয়ার জন্য এ দিনটাকে বেছে নিয়েছিলো ফুর্তি করাতে…১৫ আগস্ট উৎসব করে জানিয়ে দেয় খুনিদের তাদের সাথে সে আছে।”