পরীক্ষার হলে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে এসব ডিভাইস পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ প্রার্থিতা বাতিল করে ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষায় অযোগ্য ঘোষণা করা হবে বলে মঙ্গলবার কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় হাত ঘড়ি, পকেট ঘঢ়ি, ইলেকট্রনিক ঘড়ি ব্যবহার কমিশন নিষিদ্ধ করেছে। পরীক্ষার হলে সময় জানার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষা কক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দেয়াল ঘড়ি থাকবে।
উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা ছাড়া অন্য পরীক্ষার দিন কোনো প্রার্থীর কাছে ক্যালকুলেটর পাওয়া গেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশনের সব পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
আগামী ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৬তম বিসিএসের আবশ্যিক এবং ৫ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর কেন্দ্রে একযোগে ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা হবে। ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার সময় চার ঘণ্টা আর ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা।
লিখিত পরীক্ষায় গড় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০ জানিয়ে পিএসসি বলছে, কোনো বিষয়ে কেউ ৩০ শতাংশের কম পেলে তিনি ওই বিষয়ে কোনো নম্বর পাননি বলে গণ্য হবে।
“পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩০ জন।
গত ৮ জানুয়ারি ৩৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে দুই লাখ ১১ হাজার ৩২৬ জন চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন।
প্রথম শ্রেণির দুই হাজার ১৮০ জন গেজেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।