যুদ্ধাপরাধের দায়ে মীর কাসেমকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বহাল রাখায় তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন একাত্তরের এই বদর নেতা। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার তা খারিজ করে দেয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. নাশির আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারাগারে বন্দিরা চাইলে এক ব্যান্ডের রেডিও রাখতে পারেন। সেই রেডিওতেই কাসেম সকালে রায়ের খবর জেনেছেন।
“আগে তাকে বেশ শক্ত দেখা গেলেও রায় শোনার পর অনেকটা নার্ভাস মনে হয়েছে,” বলেন জেলার।
তিনি বলেন, রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে নিয়ম অনুযায়ী তারা আসামিকে তা পড়ে শোনাবেন। মীর কাসেমের কাছে জানতে চাওয়া হবে- তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না।
“মার্সি পিটিশন করতে রাজি হলে তার জন্য তিনি সময় পাবেন। আর না করলে পরে ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা করা হবে। সরকার দিনক্ষণ, জায়গা এসব ঠিক করে দেবে। তবে এ কারাগারে ফাঁসির জন্য জল্লাদসহ সকল প্রস্তুতি রয়েছে।”
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে ২০১২ সালের ১৭ জুন যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার।
গ্রেপ্তারের পর কাশিমপুর কারাগারেই রাখা হয়েছিল কাসেমকে। শুরুতে ডিভিশন পেলেও ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তাকে ফাঁসির সেলে পাঠানো হয়।
গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও কাসেমের সর্বোচ্চ সাজার আদেশ বহাল থাকে। এরপর ২০ জুন তাকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হলেও ২৬ জুলাই আবার কাশিমপুরে ফেরানো হয়।