ন্যায্যতার জয়, অর্থবিত্তের পরাজয়: ইমরান

যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর সর্বোচ্চ সাজার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 07:02 AM
Updated : 30 August 2016, 10:22 AM

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মধ‌্যে দিয়ে ন্যায্যতা জয় এবং অর্থবিত্তের পরাজয় ঘটেছে বলে মন্তব‌্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মীর কাসেমের ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয়।

রিভিউ খারিজ হওয়ার পরপরই আনন্দ মিছিল শুরু করে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দেন মঞ্চের কর্মীরা-সমর্থকরা।

মীর কাসেম আলী (ফাইল ছবি)

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান বলেন, অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর ক্ষেত্রে রিভিউ আবেদনের রায় দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে এলেও মীর কাসেমের ক্ষেত্রে পাঁচ মাস লাগায় তারাও চিন্তিত ছিলেন।

“এর আগেও মীর কাসেম আলী তার প্রভাব-প্রতিপত্তিকে নানাভাবে ব্যবহার করা চেষ্টা করেছেন, জনমনে আশঙ্কা ছিল- কোনোভাবে এই রায়কেও প্রভাবিত করার চেষ্টা হয় কিনা। রিভিউ খারিজের মধ্য দিয়ে সেই আশঙ্কা দূর হলো। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন জয়ী হলো।”

এ রায়কে জামায়াত নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে ‘একধাপ অগ্রগতি’ বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।

“জামায়াত ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রধান বাধা অর্থবিত্ত, যার মূল যোগানদাতা মীর কাসেম। সুতরাং তার এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াত নিষিদ্ধের পথে একধাপ এগিয়ে যাবে।”

ইমরান দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহারের দাবি জানান।

কাসেমের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানান ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের এ মুখপাত্র।

“মীর কাসেম তার অর্থবিত্ত ব্যবহার করে একটা মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। এমনকি তার বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন করারও অভিযোগ রয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব রায় কার্যকর করতে হবে।”