প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই দাবি জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রায় হয়েছে, ভাল হয়েছে। বিচারকরা যা ঠিক মনে করেছেন সে অনুযায়ী রায় দিয়েছেন।
“এখন রায়টা আমরা দ্রুত কার্যকর চাই। বিষয় হচ্ছে, রায় যদি আবার ঝুলায়ে রাখে দুমাস… যেহেতু আমরা দেখেছি রিভিউতে সময়ক্ষেপণ হয়েছে অযথা। এবার সেটা যেন না হয়।”
একইসঙ্গে বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধের বাকি মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করে রায় কার্যকরের দাবি জানান একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর মজলিশে শুরার সদস্য মীর কাসেমকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ সাজার যে রায় দিয়েছিল, গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও তা বহাল থাকে।
ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য একাত্তরের ঘাতক বদর বাহিনীর নেতা মীর কাসেমের করা আবেদনও মঙ্গলবার খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।
এখন মীর কাসেমের সামনে থাকল কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ। ৬৩ বছর বয়সী এই জামায়াত নেতা এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে সরকার দিনক্ষণ ঠিক করে কারা কর্তৃপক্ষকে তার ফাঁসি কার্যকরের নির্দেশ দেবে।
আর তিনি ক্ষমা না চাইলে কারা কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।