কাসেমের রায় ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের রায় ঘিরে নাশকতা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 02:52 AM
Updated : 30 August 2016, 03:48 AM

মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই রায় ঘোষণা করবে, যা জানার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো দেশ।

এই রায়কে কেন্দ্র করে উচ্চ আদালত এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা বলেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এসএম ইমানুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত এলাকায় প্রবেশ করার সময় তল্লাশি করা হচ্ছে। মূল ভবনের বাইরে রাখা হয়েছে আর্চওয়ে।

সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অতিরিক্ত দুইশ পুলিশ সদস‌্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

“রায়কে কেন্দ্র করে কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে না হতে পারে সেজন্য এই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।”

এদিকে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে র‌্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার আবদুল করিম জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, র‌্যাবের টহল দল ছাড়াও সাদা পোশাকের সদস্যরা আদালত চত্বরের দায়িত্বে থাকবেন।

জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত যুদ্ধাপরাধী কাসেমের শেষ আইনি সুযোগ এই রিভিউ আবেদন। এ আবেদনে রায়ের কোনো পরিবর্তন না হলে তার সামনে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ থাকবে।

রিভিউ খারিজ হলে এবং তিনি প্রাণভিক্ষা না চাইলে কিংবা আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অর্থাৎ মজলিসে শূরার সদস্য হিসেবে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তিনি হলেন জামায়াতের পঞ্চম শীর্ষ নেতা, যার রিভিউয়ের রায় হতে যাচ্ছে আপিল বিভাগে।

২০১৩ সালে ট্রাইব‌্যুনালে যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় আসা শুরু করার পর সারা দেশে ব্যাপক নাশকতা চালায় একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী।

এর আগে জামায়াতের পাঁচ শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লার রিভিউ খারিজ হওয়ার পর তাদের মৃত‌্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

সে সময় প্রতিটি রায়ের পরই হরতাল ডেকে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।