তিনি সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি আবেদন দিয়ে এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন।
মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ওই আবেদনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বাদীর প্রধান আইনজীবী মনিরুল ইসলাম কিরণ।
সিরাজগঞ্জের টুসির লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় গত বছরের ৫ মে তারিখে রাজধানীর পূর্ব তেজতুরী বাজারে স্বামীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর আশরাফুল তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, স্বামী শামস এলাহী উইলিয়াম এবং শাশুড়ি লাইলী রহমানের নির্যাতনে টুসি আত্মহত্যা করেছেন।
টুসির বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের আমলাপাড়ায়। টুসির মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবিতে ওই জেলায় স্থানীয়রা বিক্ষোভেও নেমেছিল। টুসির স্বামী উইলিয়ামদের বাড়িও সিরাজগঞ্জের সয়াগোবিন্দ গ্রামে।
টুসির বাবার এজাহারে বলা হয়, উইলিয়াম ছিল সন্দেহ বাতিকগ্রস্থ। যে কারণে মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে হতে টুসি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এই অভিযোগ তদন্তের পর সত্যতা না পাওয়ার কথা জানিয়ে গত ১৩ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
আশরাফুলের নারাজি আবেদনেবলা হয়, “আত্মহত্যায় বাধ্য করারঘটনা আড়াল করে প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘টুসি মা হতে পারছে না বলে যন্ত্রণার মধ্যেছিল, আত্মহত্যার সময় জর্দা খেয়ে নেশার মধ্যে ছিল,সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল’
“প্রকৃতপক্ষে টুসি কখনোই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল না। সে ভারসাম্যহীন বলে কোনো চিকিৎসক কখনোই মতামত দেয়নি।”