শহীদ কাদরীর মৃত্যুতে বাংলা একাডেমি ও উদীচীর শোক

কবি শহীদ কাদরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি ও উদীচী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2016, 03:12 PM
Updated : 29 August 2016, 03:12 PM

শহীদ কাদরীকে ‘সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি’ হিসেবে উল্লেখ করে শোক বার্তায় বাংলা একাডেমি বলেছে, আধুনিক বাংলা কবিতায় কাদরী যে স্বতন্ত্র ও সম্ভ্রান্ত রুচির পরিচয় দিয়েছেন তা বিস্ময়কর।

“অতি অল্প বয়সেই বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় আত্মপ্রকাশের পর মাত্র চারটি কবিতাগ্রন্থের মধ্য দিয়ে বাংলা কবিতার ইতিহাসে তিনি তার আসন স্থায়ী করে নেন।”

১৯৭৫-এর ১৫ই অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অভিঘাতে রচিত ‘হন্তারকদের প্রতি’ কবিতাটি যুগ যুগ ধরে ‘স্মরণীয় হয়ে থাকবে’ বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো শহীদ কাদরীকে ১৯৭৩ সালে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ এবং ২০১২ সালে ‘মাযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার’ প্রদান করেছে বাংলা একাডেমি।

পৃথক শোক বার্তায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী ও প্রবীর সরদার বলেন, “বাংলা কবিতায় আধুনিক মনন ও জীবনবোধ সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন শহীদ কাদরী।

নাগরিক জীবনের আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ, প্রেম ও স্বদেশ চেতনার ভাব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে শহীদ কাদরীর রচনায়। পাশাপাশি বিশ্ব নাগরিক বোধের সম্মিলনও সুন্দরভাবে ঘটিয়েছেন তিনি।

তার কাব্যগ্রন্থ ‘উত্তরাধিকার’, ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’ এবং ‘কোথাও কোন ক্রন্দন নেই’ এই তিনটি দিয়েই তিনি বাংলা সাহিত্যপ্রেমীদের ‘মনে জায়গা করে নিয়েছেন’ বলে শোক বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা ও জ্বরসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন শহীদ কাদরী।

মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি ও একুশে পদকে ভূষিত হন।