সোমবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমার যেটা বিশ্বাস, এখানে আমি তিন ঘণ্টা বক্তৃতার জন্য বসে না থেকে আমি যদি তিন ঘণ্টা তিনটা খারাপ রাস্তা দেখি- তাহলে ৩০ লক্ষ লোক উপকৃত হবে।
“বক্তৃতা জীবনে অনেক করেছি। আরও অনেক সময় আছে। বিরোধী দলে গেলে বক্তৃতা করতে পারব। ক্ষমতা চিরদিন মানুষের হাতে থাকে না। আমি আজ আছি, কাল নাও থাকতে পারি। প্রতিটা মিনিট আমি দেশের কাজে জনগণের কাজে নিয়োজিত করতে চাই।”
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।
এতে বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা কাদের বলেন, “সিরাজউদ্দোলার হন্তাকারকরা কেউ স্বাভাবিক ভাবে মরতে পারেনি। লর্ড ক্লাইভ টেমস নদীর স্রোতে আত্মহত্যা করেছে।
“বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যারা বেঁচে আছে, তাদের জীবনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রচলিত আদালতে বিচার যাই হোক, ইতিহাসের আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়ে গেছে।”
মৃত্যুর ৪১ বছর পরেও বঙ্গবন্ধু প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
“বঙ্গবন্ধু ৪১ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক। রবীন্দ্রনাথের মত যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন লাল সবুজ থাকবে, বাংলাদেশ-বাঙালি থাকবে ততদিন তিনি প্রাসঙ্গিক থাকবে।”
সভায় ওয়ান-ইলেভেনে বিচারকরা সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
“ওয়ান ইলেভেনে বিচারকদের সাহসী ভূমিকা ছিল। অনেকে রক্তচক্ষু উপক্ষো করে রায় দিয়েছেন। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ডাক্তারদের কাছেও। যারা দলমত নির্বিশেষে চিকিৎসা দিয়েছেন।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সুপ্রিম কোর্ট আইজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বক্তব্য রাখেন।
পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন সাজুর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি এএফএম মেসবাহ উদ্দীন।